দেশে অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা জটিলতায় বিকাশ ঘটছে না পর্যটন শিল্পের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে পর্যটকের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। ২০২৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ১৬০ কোটির ছাড়াবে। বিপুল সংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশই ভ্রমণ করেন এশিয়ার দেশগুলোতে। বিশাল এই বাজারে প্রবেশ করতে পারলে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ছিল নানা আয়োজন।
১ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ বর্গকিলোমিটারের ব-দ্বীপ বাংলাদেশ। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, ম্যনোগ্রাভ বন, পাহাড় গিরিখাদে বাস করা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বর্নিল সংস্কৃতি, বিস্তৃর্ণ জলরাশির অপার সৌন্দর্য্য এই ভূ-খন্ড। পর্যটনশিল্প বিকাশে এমন সব উপকরণ থাকার পরও জিডিপিতে প্রত্যক্ষ অবদানের ভিত্তিতে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২তম।
সিঙ্গাপুরের জাতীয় আয়ের ৭৫ শতাংশ, তাইওয়ানের ৬৫, হংকং এ ৫৫, ফিলিপাইনের ৫০, থাইল্যান্ডের জাতীয় আয়ের ৩০ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা, যাতায়াত ব্যবস্থার অপ্রতুলতা আর প্রচার প্রচারণার অভাব এ খাত বিকাশে প্রধান প্রতিবন্ধকতা। প্রতি বছর এদেশ থেকে ৪৬ লক্ষ পর্যটক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করতে গেলেও। বাংলাদেশে ঘুরতে আসা পর্যটকের সংখ্যা জানা নেই সরকারের। যদিও বেসরকারী হিসেব বলছে এর সংখ্যা মাত্র সাড়ে তিন লাখ।
সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর মধ্যে পর্যটন থেকে ভারতের আয় ১০ হাজার ৭২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মালদ্বীপে ৬০২ মিলিয়ন, শ্রীলঙ্কায় ৩৮৫, পাকিস্তানে ২৭৬ এমনকি নেপালেও আয় করে ১৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ এই খাত থেকে বাংলাদেশ আয় মাত্র ৭৬.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হয় দেশজুড়ে। তবে এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবী করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এই ঘটনা পর্যটনখাতে নেতিবাচক প্রচাব ফেলবে না।
সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বাংলাদেশ-এমনটাই প্রত্যাশা সবার।