দীর্ঘ অপেক্ষার পর পহেলা ডিসেম্বর থেকে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতিদিন চারটি জাহাজে মাত্র দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে যাওয়া আসার অনুমতির বিষয়টি দু:খজনক বলছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

এবারও কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে ছেড়ে যাবে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ।বিলাসবহুল এসব জাহাজে দীর্ঘ সময় ভ্রমণ বিড়ম্বনা এড়াতে গান বাজনার বাড়তি বিনোদনও উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি ভ্রমণ সঙ্গী হিসেবে সামুদ্রিক গাংচিলের সাথেও মিতালি করতে পারবেন যে কেউ।

দীর্ঘ ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞার পর গেলো পয়লা নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার বাধ্যবাধকতার কারণে পর্যটকদের অনাগ্রহে বন্ধ ছিল জাহাজ চলাচল। একমাস পর জাহাজ চলবে তাই নিজেদের প্রস্তুত করেছেন পর্যটনসেবীরা।

স্থানীয়দের ভাষায় ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ কিংবা জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদের অপরূপ সৌন্দর্য্যের ‘দারুচিনি দ্বীপের মুগ্ধতা দেখার আমন্ত্রণ জাহাজ মালিকদের।

জেলা প্রশাসক বলছেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে জাহাজ চলাচল এবং পর্যটকদের সব ধরনের হয়রানি বন্ধে কঠোর নজরদারিতে থাকবে প্রশাসন।

গত অর্থ বছরে পর্যটন খাত থেকে প্রায় ১১’শ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে সরকার। যার বেশিরভাগ এসেছে দেশের প্রধান এই বিনোদন কেন্দ্র থেকে।