সুন্দরবনের খাল ও নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে এলাকার লাখো মানুষ

- আপডেট সময় : ০৫:১৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
সুন্দরবনের খাল ও নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে উপকুলীয় এলাকার লাখো মানুষ। মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার কথা তিনি বললেও, বন বিভাগ বলেছে, সুযোগ নেই। এদিকে, নিষেধাজ্ঞার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জেলেদের কোনো তালিকা হয়নি।
সুন্দর বনে সাগরের লোনা আর উজান থেকে আসা মিষ্টি পানির মিশ্রনে সৃষ্টি হয়েছে অনন্য এক বৈশিষ্ট। বন বিভাগের হিসেবে, ম্যানগ্রোভ এই অঞ্চলে দুই শতাধিক নদী ও শত শত খাল রয়েছে। ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার বিচরণ ক্ষেত্র এটি।
উপকূলের বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনো ভাবে এই বনের ওপর নির্ভরশীল। মাছের পোনা আহরন, মাছ ধরে ও শুঁটকি করে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। প্রজনন মৌসুমের কথা ভেবে গত বছর থেকে জুলাই-আগস্ট মাসে এখানে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে বন বিভাগ। এতে, বিপাকে পড়েছে জেলেরা।
বন বিভাগ বলছে, মৎস্যজীবীদের কোনো প্রনোদনা দেয়ার সুযোগ নেই। দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষায়, ভবিষ্যত প্রকল্প প্রণয়নে সহায়ক হবে বলে জানান, এই বন কর্মকর্তা। বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার জানান, পাঁচ হাজার জেলেকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৮০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে। তবে নিষেধাজ্ঞার দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, এখনো কোনো তালিকা হয়নি।