সরকারের ভুল পরিকল্পনায় জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সংকটে খাদের কিনারায় দেশ : মত বিশেষজ্ঞদের

- আপডেট সময় : ০৭:১৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
সংকট মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্যাস উত্তোলনে সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা বলেন, ২০১০ সালে বিদ্যুৎ খাতে দায়মুক্তি আইনের মাধ্যমে এক যুগে ১১টি কোম্পানিকে ৬০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এটা বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দায়ী। বৈঠকে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকারের ভুল পরিকল্পনায় দেশ আজ খাদের কিনারায়।
দেশে চলছে জ্বালানী তেল ও বিদ্যুতের সংকট। যার কারণে অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। এমন বাস্তবতায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক–সুজন।
বৈঠকে আলোচকরা বর্তমানে দেশের জ্বালানি সংকটের জন্য অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করাকে এবং বিদেশি জ্বালানির উপর ক্রমাগত নির্ভরশীলতাকে দায়ী করেন।
জ্বালানি খাতির বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বক্তারা জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ২৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হয় এবং এলএনজির মাধ্যমে আমদানি করা হয় ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস । সে হিসেব অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে গ্যাস উৎপাদন ১৫০০ মিলিয়নে নেমে আসতে পারে এবং আমদানি ৩০০০ মিলিয়ন ঘনফুটে পৌঁছতে পারে।
বৈঠকে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উন্নয়নের নামে ভুল অবকাঠামো নির্মান এবং বিদেশীদের উপর নির্ভরতায় দেশে সংকট তীব্র হয়েছে।
বৈঠকে আমদানিকৃত জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দেন আলোচকরা