সন্তানের মাথা বিচ্ছিন্ন করে নদীতে ফেলে দিলেন বাবা

- আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
- / ২৩৩৩ বার পড়া হয়েছে
স্ত্রী ও সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যায় অভিযুক্ত হয়েছেন এক সেনা সদস্য। চট্টগ্রামে কর্মরত বগুড়ার আজিজুল হক সন্তানকে হত্যার পর করতোয়া নদীতে তাঁর মাথা ফেলে দিয়েছে। হত্যার পর নাটক সাজিয়ে শহরের মাইকিংয়ের পাশাপাশি থানায় অভিযোগ জানান তিনি। নিজের ফাঁদেই আটকে ধরা পড়েছেন পুলিশের ফাঁদে। জোড়া হত্যাকাণ্ডের অপরাধীর ফাঁসির দাবি নিহতের স্বজনদের।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাসিন্দা আজিজুল হক চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। দুমাস আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন। পহেলা জুন স্ত্রী আশামনি ও একমাত্র শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল কাফিকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার ছলে জেলার বনানী শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ওঠেন। রাতে হোটেলের ৩০১ নম্বর রুমেই জবাই করে স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর শিশু সন্তানকে জবাই করে তার মাথা ফেলে আসে করতোয়া নদীতে।
সকালে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে জানায় স্ত্রী ও ছেলে হারিয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে নিয়েই শহরে মাইকিং করা হয়। এতকিছুর মাঝে আজিজুল হক দুপুরে আবার হোটেলে ফিরে গেলে সন্দেহ হয় স্বজনদের। তাকে আটকে পুলিশে খবর দিলে আটক করা হয় তাকে।
হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানতে তদন্ত চলছে, জানালেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।