যৌথ মালিকানার নামে রাষ্ট্রিয় সম্পদ লুটপাটের নতুন পথ আবিস্কার করেছে সরকার
- আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
যৌথ মালিকানার নামে রাষ্ট্রিয় সম্পদ লুটপাটের নতুন পথ আবিস্কার করেছে সরকার। রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠান পাবলিকের কাছে হস্তান্তরের পর অস্তিত্ব হারানোর রেকর্ড অতিতেও আছে। তাই প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত না করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার দাবি করেছেন শ্রমীক নেতা ও শ্রমীক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। এদিকে সকল দেনা পাওনা একসঙ্গে বুঝে পাওয়ার শর্তে প্রবীন শ্রমীকরা সরকারের সিদ্ধান্ত মানলেও নবীনরা কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা চান।
বছর বছর শ্রমীক অসন্তোস আর লোকশান কাটাতে এবার রাষ্ট্রয়াত্ব ২৫ টি পাটকল একসঙ্গে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এসব পাটকলে কর্মরত প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমীককে গোল্ডেন হ্যানসেকে বেদায় জানানোর কথাও বলা হয়েছে।
রোববার বিকেলে এখবর প্রচার হওয়ার পর, পাটকলে কর্মরত অস্থায়ী প্রায় ১০ হাজার বদলী শ্রমীকের ভাগ্যে কি জুটবে, নতুন স্থায়ী হওয়া শ্রমীকদের দেনাপাওনার কি হবে, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চট্টগ্রামের আমিন জুটমিলের সামনে জড়ো হন শত শত শ্রমীক।
শ্রমীকদের অভিযোগ, পুরনো মেশিন, মৌসুমের শুরুতে পাট না কেনাসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণেই লোকশান গুনছে জুটমিলগুলো। কিন্তু এর দায়ভার বরাবরই চাপানো হয় শ্রমীকদের ওপর। সবশেষ বিলুপ্তের এই সিদ্ধান্তেও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমীকরা। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে প্রমান করে শ্রমীকরা না খেয়ে মরলেও তাদের কিছু করার নেই।
শ্রমীক নেতারা বলছেন, বিপুল পরিমান রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করতেই সরকারকে ভুল বুঝিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে হুমকির মুখে পড়বে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ।
আর শ্রমীকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, কৃষকের স্বার্থ আর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থেই রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন। তাই বিলুপ্ত না করে সংস্কার করলে লাভবান হতো সবপক্ষই।
গেল ১০ বছরে রাষ্ট্রয়াত্ব ২৫ টি পাটকলের পেছনে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশী লোকশান গুনেছে সরকার। এত বড় লোকশানের হাত থেকে বাঁচতে আপাতত বন্ধ হচ্ছে পাটকলগুলো। তবে যৌথ মালিকানার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হলে ফের সচল হবে কারখানার চাকা। নতুন করে কাজে ফিরিয়ে নেয়া হবে দক্ষ শ্রমীকদের। এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি সিদ্ধান্তে।