মুন্সীগঞ্জে বিচারহীনতায় ক্ষোভে ফুঁসছে শহীদ পরিবার ও জুলাইযোদ্ধারা

- আপডেট সময় : ০৩:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
পদ্মাসেতু এলাকাসহ রাজধানীতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুন্সীগঞ্জের ছাত্র-জনতা। সে সময়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় শহীদ হন জেলার মোট ১৬ জন। এদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ শহরে তিন ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১৩ জন। আর শরীরের বিভিন্ন অংগ হারিয়ে বেঁচে আছেন অসংখ্য জুলাইযোদ্ধা। দীর্ঘ এক বছরেও এসব হত্যাকাণ্ড এবং আহত হওয়ার ঘটনার বিচার না পাওয়ায় শহীদ ও আহতদের পরিবারে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা।
জুলাই আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় শরিক হন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কাশেম নগরের দুই ভাই বাদল ও আল আমিন খলিফা। এসময় বড় ভাই প্রাণে বাচঁলেও পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আল আমিন খলিফা। একই দিনে ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন একই উপজেলার সাইদুল ইসলাম শোভন ও রামপুরায় সিরাজদিখানের মোস্তফা জামান সমুদ্র। এদিকে, ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট ও আশপাশে শহীদ হন ইসলামপুরের নুর মোহাম্মদ ডিবজল, মোহাম্মদ সজল ও রিয়াজুল ফরাজীসহ তিনজন।
এসব হত্যাকাণ্ডে মুন্সীগঞ্জে ৫টিসহ ঢাকার বিভিন্ন থানায় বেশক’টি মামলা হলেও মামলাগুলোর নেই কোনো অগ্রগতি। ফলে সঠিক বিচার নিয়ে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ছে সংশয়। কোন কোন পরিবার পাচ্ছে হুমকি-ধমকি।
ইতোমধ্যেই শহীদ ও আহতদের পরিবার পেয়েছেন জুলাই ফাউন্ডেশনের সহায়তা। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী জেলার ৭ শহীদের পরিবারকে দিয়েছে নগদ দু’লাখ টাকা করে। বিএনপিও করেছে সহযোগিতা। দিচ্ছে নানান প্রতিশ্রুতি।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সন্তানহারা মা-বাবা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার পাবে? নাকি, অবহেলায় দিন যাবে, এমন প্রশ্ন শহীদ পরিবারগুলোর।