০৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

বেগম খালেদা জিয়া নিজেই একটি ইতিহাস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া নিজেই একটি ইতিহাস। যে ইতিহাস আপোষহীনতার, যে ইতিহাস অন্যায়ের কাছে মাথানত না করার। তবে এই অর্জনের অপর পিঠে আছে নানা কষ্ট, জীবনভর চরম মুল্য দেবার করুণ সব গল্প। ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ে হারিয়েছেন আবাসস্থল, এমনকি সন্তান হারানোর ঘটনাও ঘটেছে তার জীবনে।

দশকের পর দশক গণতন্ত্রের লড়াইয়ের সম্মুখভাগে বেগম খালেদা জিয়া। অসীম দেশপ্রেম, দৃঢ়তা ও দূরদর্শিতায় তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্যা চরিত্র।

গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের মাতা ও দেশনেত্রীতে উত্তরণের পথে শত চাপের কাছে নথি স্বীকার না করা এক সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র, মাটি ও মানুষের প্রশ্নে সব সময় আপোষহীন এই নেত্রী গেলো চার দশকে হয়ে উঠেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ৯০ দশকে তার নামের সঙ্গে জুড়ে যায় আপোষহীন তকমা।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর সৃষ্ট শূণ্যতায় বিএনপির হাল ধরেন বেগম খালেদা জিয়া। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, সংকট মোকাবিলা করে নেতৃত্বের আসনে দৃঢ়তার সঙ্গে সমাসীন হন খালেদা জিয়া; ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন জাতির আস্থার প্রতীক।

১৯৮৬ সালে এরশাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লিগ নির্বাচনে অংশ নিলেও, নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে খালেদা জিয়া ছিলেন অনড়। তাঁর সেই দৃঢ়তায়ই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। পতন ঢেকে আনে এরশাদের।

৯১-এর নির্বাচনে রাজনীতির সব সমীকরণ ও হিসেব নিকেশ পাল্টে দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে দেশের জনগণ।প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি।

সময়ের পরিক্রমায় খালেদা জিয়ার ওপর ওয়ান ইলেভেনে আবারও খড়ক নেমে আসে। মাইনাস টু ফরমুলা বাস্তবায়নে, রাষ্ট্রের নানা চাপের কাছেও হার মানেননি তিনি। দেশত্যাগে অস্বীকৃতি জানান বেগম জিয়া।

খালেদা জিয়ার আপোষহীন সংগ্রাম ওয়ান ইলেভেনেই শেষ হয়নি। ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় জেকে বসা শেখ হাসিনার পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। বিনিময়ে ঢাকা সেনানিবাসের বাসা থেকে অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় নিতে হয় তাকে। হারাতে হয়েছে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে। নির্যাতনের পর নির্বাসনে পাঠানো হয় বড় ছেলে তারেক রহমানকে।

গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপষহীন খালেদা জিয়াকে অকুণ্ঠ দেশপ্রেমের খেসারত দিতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী থাকেন তিনি।

আপামর জনতা ও বিশিষ্টজনরা মনে করেন, দেশের কল্যানে গোটা জীনবটাই উৎসর্গ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া; যা সারা বিশ্বে অনন্যা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে খালেদা জিয়ার আপোষহীনতার এই স্বারক, ভবিষ্যত রাজনীতিতে তো বটেই জনমানুষের জন্যও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। উজ্জ্বল নক্ষত্র চিরকাল প্রজ্জ্বলিত থাকে আকাশে-পরপারে ভালো থাকবেন আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বেগম খালেদা জিয়া নিজেই একটি ইতিহাস

আপডেট সময় : ০৫:০৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া নিজেই একটি ইতিহাস। যে ইতিহাস আপোষহীনতার, যে ইতিহাস অন্যায়ের কাছে মাথানত না করার। তবে এই অর্জনের অপর পিঠে আছে নানা কষ্ট, জীবনভর চরম মুল্য দেবার করুণ সব গল্প। ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ে হারিয়েছেন আবাসস্থল, এমনকি সন্তান হারানোর ঘটনাও ঘটেছে তার জীবনে।

দশকের পর দশক গণতন্ত্রের লড়াইয়ের সম্মুখভাগে বেগম খালেদা জিয়া। অসীম দেশপ্রেম, দৃঢ়তা ও দূরদর্শিতায় তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্যা চরিত্র।

গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের মাতা ও দেশনেত্রীতে উত্তরণের পথে শত চাপের কাছে নথি স্বীকার না করা এক সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র, মাটি ও মানুষের প্রশ্নে সব সময় আপোষহীন এই নেত্রী গেলো চার দশকে হয়ে উঠেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ৯০ দশকে তার নামের সঙ্গে জুড়ে যায় আপোষহীন তকমা।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর সৃষ্ট শূণ্যতায় বিএনপির হাল ধরেন বেগম খালেদা জিয়া। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, সংকট মোকাবিলা করে নেতৃত্বের আসনে দৃঢ়তার সঙ্গে সমাসীন হন খালেদা জিয়া; ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন জাতির আস্থার প্রতীক।

১৯৮৬ সালে এরশাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লিগ নির্বাচনে অংশ নিলেও, নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে খালেদা জিয়া ছিলেন অনড়। তাঁর সেই দৃঢ়তায়ই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। পতন ঢেকে আনে এরশাদের।

৯১-এর নির্বাচনে রাজনীতির সব সমীকরণ ও হিসেব নিকেশ পাল্টে দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে দেশের জনগণ।প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি।

সময়ের পরিক্রমায় খালেদা জিয়ার ওপর ওয়ান ইলেভেনে আবারও খড়ক নেমে আসে। মাইনাস টু ফরমুলা বাস্তবায়নে, রাষ্ট্রের নানা চাপের কাছেও হার মানেননি তিনি। দেশত্যাগে অস্বীকৃতি জানান বেগম জিয়া।

খালেদা জিয়ার আপোষহীন সংগ্রাম ওয়ান ইলেভেনেই শেষ হয়নি। ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় জেকে বসা শেখ হাসিনার পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। বিনিময়ে ঢাকা সেনানিবাসের বাসা থেকে অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় নিতে হয় তাকে। হারাতে হয়েছে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে। নির্যাতনের পর নির্বাসনে পাঠানো হয় বড় ছেলে তারেক রহমানকে।

গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপষহীন খালেদা জিয়াকে অকুণ্ঠ দেশপ্রেমের খেসারত দিতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী থাকেন তিনি।

আপামর জনতা ও বিশিষ্টজনরা মনে করেন, দেশের কল্যানে গোটা জীনবটাই উৎসর্গ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া; যা সারা বিশ্বে অনন্যা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে খালেদা জিয়ার আপোষহীনতার এই স্বারক, ভবিষ্যত রাজনীতিতে তো বটেই জনমানুষের জন্যও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। উজ্জ্বল নক্ষত্র চিরকাল প্রজ্জ্বলিত থাকে আকাশে-পরপারে ভালো থাকবেন আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া।