বাসা আর বাসভবনের বৈষম্য দূর করতে হবে: মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

- আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
বাসা আর বাসভবনের বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে উল্লেখ করে এই বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষের আবাসস্থলকে বলা হয় বাসা। কিন্তু কর্মকর্তাদের বেলায় বলা হয় বাসভবন। ডিআইজির বাসভবন। পুলিশ সুপারের বাসভবন। আমলাদের নিবাস। এসব ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়ে গেছে। এ সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।
রোববার (৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (জেবস) কর্তৃক আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: গণতন্ত্র উত্তরণে মহাজাগরণ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সচিবালয় নামে আমরা যে স্থাপনা চিনি সেটির নাম হওয়া উচিত মন্ত্রণালয়। এখানে সচিবরা প্রধান নন। সচিবদের প্রধান হচ্ছেন মন্ত্রীরা। তাহলে এটির নাম সচিবালয় হবে কেন? এর নাম পরিবর্তন করে মন্ত্রণালয় রাখতে হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, জুলাইয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বা সংস্কারের জন্য ছাত্র জনতা জীবন দেয়নি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হবে, সেখানে যে দলই বিজয়ী হয়ে আসবে আমরা স্বাগত জানাবো।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই একক কোন পক্ষের নয়, এ বিজয় সকলের। এ বিজয় ছাত্র-জনতার। বিজয় ধরে রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব সংগঠন যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আহমেদ ইসহাক বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিজয় এলেও দেশ পুরোপুরি স্বৈরাচারমুক্ত নয়। সকল জায়গায় আমরা আগের মতোই দলীয়করণ দেখতে পাচ্ছি। মিটফোর্ডের সোহাগ হত্যার মতো ঘটনাও দেখতে হয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (জেবস)’র সভাপতি রিয়াজুর রহমান রিয়াজের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরবেশের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, , বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, খন্দকার ব্যারিস্টার মারুফ হোসপন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী,শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেবস’র সহ সভাপতি নূরে আলম বর্ষণ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুমাজ্জল হোসেন রুবেল, দপ্তর সম্পাদক আহসান কামরুল, সাংবাদিক জাকির হোসেন,ফখরুল ইসলাম, এসএম তাজুল ইসলাম,শাহারুল ইসলাম রকি, মো. মেহেদী হাসান, মিজানুর রহমান হাওলাদার,খলিল মৃধা, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর সদস্য আকন্দ এস এম এ আসাদ প্রমুখ।