বাঁশখালির ঘটনায় দুই মামলা, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ
- আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে ফের ৫ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে বাঁশখালীর মানুষ। ছোট-খাটো ঘটনায় শ্রমিক ও গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালানোর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চান তারা। যে কোন সময় বড় ধরণের বিক্ষোভের আশংকাও করছেন কেউ কেউ। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এস আলম কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থানীয় একটি মহল প্রজেক্ট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে না পেরে বারবার শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাশঁখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের সাগরপাড়ে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভ ২০১৬ সালের। তখনও পুলিশের গুলিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়। মোটা অংকের ক্ষতিপুরণের সঙ্গে নানা শর্তে তখন বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর পাল্টে যায় তাদের চেহারা। নানান ছলে বলে স্থানীয়দের কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শ্রমিক আনতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে শনিবার ফুসে ওঠে শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ওপর এবারও গুলি চালায় পুলিশ। কর্তৃপক্ষের দাবি ২০১৬ সাল থেকেই স্থানীয় একটি গ্রুপ প্রজেক্ট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে বার বার সংশ্লিষ্টদের উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
২০১৬ সালে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী। এবারের বিক্ষোভেও এস আলম গ্রুপের অভিযোগের তীর তার দিকে। যদিও সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইলেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।
বড় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ দেশি বিদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করে । শনিবারের ঘটনায় রোববার ভোররাতে বাঁশখালী থানায় অজ্ঞাত কয়েকহাজার মানুষকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ।