বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির কলঙ্কময় দিন আজ

- আপডেট সময় : ০৩:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২
- / ১৬৫৩ বার পড়া হয়েছে
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের। শুধু হত্যা করেই দমে যাননি তারা, আইন করে এ হত্যার বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে, রচিত হয় ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে এ অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট… ভোরের সূর্য উঠার আগেই ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে ঘাতকদের নির্মম বুলেট কেড়ে নেয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ। শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও কেউই রেহাই পায়নি ঘাতকের নির্মমতা থেকে।
হত্যার পর ঘাতকদের দায়মুক্তি দিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ জারি করে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। বন্ধ হয়ে যায় বিচারের সকল দুয়ার, তৈরি হয় বিচার না চাওয়ার সংস্কৃতি। এখানেই শেষ নয়, ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে জিয়াউর রহমান অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করেন।
২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সটি রহিত করা হয়। শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার। আইনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি কয়েকজন আসামির সাজা কার্যকর করা হয়। পালিয়ে থাকে আরও ৬ খুনি। ২০২০ এর মে মাসে আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হলেও এখন পলাতক রয়েছেন আরও ৫ খুনি।
তাদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় ও এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে আইনী প্রক্রীয়া শেষ করে খুনিদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলে জানান এটর্নি জেনারেল।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করা অনিবার্যভাবে ইতিহাসের দায় বলেই মনে করেন আইনজীবীরা।