প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের এজেন্ডায় নেই তিস্তা চুক্তি

- আপডেট সময় : ০৫:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৬২ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। ফলে সংশ্লিষ্টদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। নদী গবেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষায় এই চুক্তির বিকল্প নেই। সুষম পানি বন্টন না হওয়ায় ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চল। বিরূপ প্রভাব পড়ছে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রায়। তিস্তা ব্যারাজসহ নদীকেন্দ্রিক অবকাঠামোর উন্নয়নের দাবি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
বাংলাদেশের সীমান্ত নদী…. তিস্তা। ৩৩৫ কিলোমিটারর দৈর্ঘ্যের নদীটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি দিয়ে নীলফামারীর ডিমলা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১১৫ কিলোমিটার বহমান এই নদী বয়ে গেছে লালমনির হাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর হয়ে গাইবান্ধা জেলা পর্যন্ত।
দ্রুত তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন করে তিস্তার পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত সরকারের কাছে দাবি তিস্তাপাড়ের মানুষেরা।
পানি প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় নিচে নামছে সুপেয় পানির স্তর। প্রতিবছর উজানের ঢলের সাথে আসা পলি আর বালিতে ভরে গেছে নদীর তলদেশ। এতে সামান্য ঢলেই নদীর দু’কুল ছাপিয়ে হচ্ছে বন্যা।
প্রতিবছর পাল্টে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। হুমকির মুখে পড়ছে তিস্তা ব্যারাজের অবকাঠামোসহ নদীকেন্দ্রিক সবত্রই বলে দাবি করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই নির্বাহী প্রকৌশলী।
এই অঞ্চলের পরিবেশ প্রতিকূল রক্ষায় তিস্তা চুক্তির বিকল্প নেই বলে দাবি করেন বাংলাদেশের এই নদী গবেষক।
তিস্তারপাড়ের মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে দুদেশের মধ্যে পানি বন্টন চুক্তিই এখন একমাত্র ভরসা। তাতে শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি মিলবে তেমনি বর্ষায় উজানের পানির ঢলে বন্যায় ভাসবে না এই জনপদ।