প্রথমবারের মতো পাইপলাইন দিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহ

- আপডেট সময় : ০৫:৩০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
বিমানবন্দরে নিরাপদ জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো জেট ফুয়েল পাঠানো হচ্ছে পাইপলাইন দিয়ে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করেছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্থাপনা থেকে পাইপলাইনে ৮ লাখ লিটারের বেশি জেট ফুয়েল বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। এটি দেশের জ্বালানি খাতে একটি মাইলফলক বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করা বিমানগুলোর জন্য প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার জেট ফুয়েল প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর হজ মৌসুমে এই চাহিদা বেড়ে তিন লাখ লিটারে দাঁড়ায়। এতদিন পতেঙ্গার পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১০-১২টি ফুয়েল বাউজার দিয়ে জেট ফুয়েল সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এটি সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর পাইপলাইনটি নির্মাণের কাজ শুরু করে পদ্মা অয়েল। ব্যয় ধরা হয় ১৭০ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ডিপো থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ৮ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে ঘণ্টায় ১৪০ কিউবিক মিটার জেট ফুয়েল পরিবহন করা সম্ভব।
এই প্রকল্পের যন্ত্রপাতিসহ সকল বিষয়ে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে বলে জানান প্রকল্পের কাজ করা বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সফল কমিশনিং শেষে পাইপলাইন দিয়ে এখন পরীক্ষামূলক জেট ফুয়েল সরবরাহ করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প পরিচালক।
পাইপলাইনের মাধ্যমে জেট ফুয়েল সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে মাত্র দুই ঘণ্টায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরের জেট ফুয়েলের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।