পদ্মা অয়েল থেকে পাইপলাইনে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহ শুরু

- আপডেট সময় : ০৬:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো পাইপলাইনের মাধ্যমে পদ্মা অয়েলের প্রধান স্থাপনা হতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ডিপোতে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল সরবরাহ। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল পরিবহণ ও পরিচালন ক্ষতি হ্রাসের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে জেট এ-১ এর পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেট ফুয়েলের চাহিদা মেটাতে পদ্মা অয়েলের প্রধান স্থাপনা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম এভিয়েশন ডিপোতে প্রথমে ট্যাংকলরী যোগে এবং পরবর্তীতে রি-ফুয়েলার আর হাইড্রেন্ট লাইনের মাধ্যমে জেট এ-১ পরিবহণ করা হতো। কিন্তু নানা কারণে সড়কপথে জেট এ-১ সরবরাহ ক্রমশই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেজন্য হাতে নেয়া হয় পদ্মা অয়েলের প্রধান স্থাপন হতে বিমানবন্দরস্থ এভিয়েশন ডিপো পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনযোগে জেট এ-১ পরিবহন প্রকল্প।
২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর পাইপলাইনটি নির্মাণের কাজ শুরু করে পদ্মা অয়েল। ব্যয় ধরা হয় ১৭০ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ডিপো থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো এই পাইপ দিয়ে উড়োজাহাজে জ্বালানী তেল সরবরাহ। জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও সময় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহের লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান।
এই প্রকল্পের যন্ত্রপাতিসহ সকল বিষয়ে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির এ কর্মকর্তা।
এ প্রকল্পের কারণে মাত্র দুই ঘণ্টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেট ফুয়েলের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।