নিজেদের মনগড়া নিয়মে চলছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি- জালালাবাদ গ্যাস
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০২:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
 - / ১৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
 
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন বলবৎ থাকলেও তার তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া নিয়মে চলছে রাষ্ট্রীয় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি- জালালাবাদ গ্যাস। তথ্য প্রাপ্তির ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়ে মাসের পর মাস ঘুরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র গায়েব করে ফেলার মতো অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, গণমাধ্যম কর্মীদেরও কখনোই কোন তথ্য দেয়া হয় না এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী জোর করে জায়গা দখলের পর সেখানে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেয় জালালাবাদ গ্যাস থেকে। বারোখলা ইউনিয়নের রাজু আহমেদ গত জানুয়ারিতে জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এমন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে সংযোগের তথ্য চান। মিটিং করে তাকে তথ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলা হয় অফিস থেকে। পরে কাগজ সংগ্রহ করতে গেলে তাকে আঞ্চলিক কার্যালয়ে যেতে বলা হয়। আর আঞ্চলিক কার্যালয়ে গেলে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবার কথা। দীর্ঘ ৮ মাস দৌড়াদৌড়ি করার পর প্রতিপক্ষের প্রভাবে তাকে বলা হয়, ফাইল হারিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী জমির মালিক তুলে ধরলেন তার অভিযোগ।
আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ প্রদানে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কিভাবে তার জায়গায় অবৈধ দখলকারীকে গ্যাস সংযোগ দেয়া হলো এবং লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কর্তৃপক্ষের এই রহস্যজনক টালবাহানা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সাধারণ মানুষের অভিযোগের পাশাপাশি রয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদেরও বহু অভিযোগ। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়রানির পাশাপাশি অনেক গণমাধ্যমকর্মী আবার লাঞ্ছিতও হয়েছেন কর্মকর্তাদের কাছে। নিয়মমাফিক আবেদন করার পরও তথ্য দিতে উদাসীন জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
জালালাবাদ গ্যাসের বিরুদ্ধে এমন হাজারো অভিযোগ থাকলেও তারা বরাবরের মতোই উদাসীন এসব প্রশ্নে। অথচ আইনে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেরও তথ্য দিতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানালেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে তথ্য প্রাপ্তিতে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হলেও, জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ কোন শক্তিবলে সরকার আর জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে, তা জানতে চায় সিলেটবাসী।
																			
																		













