নগরবাসীর চাহিদা মেটাতে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে দ্রুত নামছে স্তর
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০১:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
 - / ১৭১১ বার পড়া হয়েছে
 
ঢাকাবাসীর প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে দ্রুত নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। প্রতি বছর ঢাকা ও বরেন্দ্র এলাকায় ২ মিটার করে পানির স্তর নিচে মানছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০৫০ সালের মধ্যে এর স্তর নেমে যেতে পারে ১২০ মিটারে। কারণ, ওয়াসার প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২৫ সালে প্রতিদিন ৩৫ লাখ ঘনমিটার পানির চাহিদা থাকবে ঢাকায়। ফলে অচিরেই ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। ভূমিধ্বসসহ বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রাজধানীকে রক্ষায় শিল্প কারখানাগুলো অন্যত্র স্থাপনের দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
দূষণ ও দখলের কারণে ঢাকার চারপাশের নদী ও জলাশয়ের পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায়, নগরীর প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দার ঘরে ও শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করা প্রায় ৭০ শতাংশ পানি উত্তোলন করতে হচ্ছে মাটির নিচ থেকে। শুধু ঢাকা ওয়াসাই প্রতিদিন প্রায় ৩৩ লাখ ঘনমিটার ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করেছে।
ক্রমাগতভাবে প্রতি বছরই কমছে ভূগর্বস্থ পানি স্তর। রাজধানী ঢাকা সহ বরেন্দ্র এলাকাতে প্রতি বছর ২ মিটার হারে নেমে যাচ্ছে পানির লেয়ার। ফলে অগভীর নলকূপগুলোতে মিলছে না পানি।
ভূগর্ভস্থ পানি বিশেষজ্ঞ এবং পাউবো পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ঢাকার মাটির নিচে একটি বড় বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। রাজধানী বাসীর চাহিদা মেটাতে এবং ঢাকার আশপাশে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানাগুলো পানি সরবরাহ করতে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে তা ভূগর্ভে প্রতিস্থাপন হচ্ছে না।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের নেতিবাচক প্রভাবের ১৯৭০ সালেও ঢাকায় ৬ মিটারে পানি মিললেও এখন ৭৩ মিটারে মিলছে না।
এ অবস্থায় ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরির পাশাপাশি ভবিষ্যতে ঢাকা পানি শূন্য নগরীতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি এই বিশেষজ্ঞের।
২০১৩ সালে পানি আইন প্রণয়ন হলেও কার্যকর না হ্ওয়ায় ভূগর্ভের পানি দিন দিন হুমকির মুখে যাচ্ছে। তাই পানির অপচয় রোধ ও যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিতের তাগিদ দেন ড. আনোয়ার জাহিদ।
																			
																		














