০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

নওগাঁয় স্বেচ্ছাশ্রমে খাল পরিষ্কার, সচল হলো পানি নিষ্কাশন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বেচ্ছাশ্রমে নওগাঁয় খাল পরিষ্কার করলেন কৃষকরা। এতে পানি নিষ্কাশন আবারও সচল হয়েছে। অবসান হবে দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি। সুবিধা পাবে প্রান্তিক কৃষকরা।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আল মামুনের নেতৃত্বে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের তারতা ব্রিজ থেকে নলগড়া পাহাড়পুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার খাল পরিষ্কারে অংশ নেয় অর্ধশতাধিক মানুষ। এসময় খাল পরিষ্কারের উদ্‌বোধন করেন বক্তারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চল।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, তারতা ব্রিজ থেকে নলগড়া পাহাড়পুর ব্রিজ পর্যন্ত খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার। কচুরিপানা আর আগাছার কারণে খালটির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে সামান্য বৃষ্টির পানিতেই ফসলি মাঠ তলিয়ে যায়। চলতি আমন মৌসুমে কয়েকদিন আগে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে পানি নিষ্কাশনের না হওয়ায় ফসলি মাঠ তলিয়ে যায়। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। একারনে আবাদি জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয়রা কৃষকদলে উদ্যোগে খাল পরিষ্কারে নামেন তারা।

বাচ্চু হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই খালের আগাছা পরিষ্কার হয় না। ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে ফসলি মাঠ তলিয়ে যায়। তাই নিজেরাই খাল পরিষ্কার শুরু করেছি।

কৃষক রফিকুল ও ইন্দ্রিস আলী বলেন, এই মাঠে হাজার হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে কৃষকরা। অবহেলিত সেচখালটি কচুরিপানা আর আগাছায় পরিপূর্ণ। কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়না। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসল তলিয়ে যায়। আবার খরার সময় ঠিক মতো পানি থাকেনা। তাই আমরা চাই খালটি খনন করে সচল করা হোক। খালটি সচল হলে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল জলাবদ্ধতা থেকে যেমন রক্ষা পাবে তেমনই জমিতে সেচ দেওয়া সহজ হবে।

সদর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আল মামুন বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে কৃষকদের রক্ষায় খালের পানি নিষ্কাশন ও পরিবেশ রক্ষায় খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে আমার কৃষকদলের নেতাকর্মী, স্থানীয় কৃষকরা ও বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে খাল পরিষ্কারে অংশ নেয়। আশা করি খালটি পরিষ্কারের মাধ্যমে ফসল রক্ষা পাবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নওগাঁয় স্বেচ্ছাশ্রমে খাল পরিষ্কার, সচল হলো পানি নিষ্কাশন

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বেচ্ছাশ্রমে নওগাঁয় খাল পরিষ্কার করলেন কৃষকরা। এতে পানি নিষ্কাশন আবারও সচল হয়েছে। অবসান হবে দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি। সুবিধা পাবে প্রান্তিক কৃষকরা।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আল মামুনের নেতৃত্বে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের তারতা ব্রিজ থেকে নলগড়া পাহাড়পুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার খাল পরিষ্কারে অংশ নেয় অর্ধশতাধিক মানুষ। এসময় খাল পরিষ্কারের উদ্‌বোধন করেন বক্তারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চল।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, তারতা ব্রিজ থেকে নলগড়া পাহাড়পুর ব্রিজ পর্যন্ত খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার। কচুরিপানা আর আগাছার কারণে খালটির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে সামান্য বৃষ্টির পানিতেই ফসলি মাঠ তলিয়ে যায়। চলতি আমন মৌসুমে কয়েকদিন আগে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে পানি নিষ্কাশনের না হওয়ায় ফসলি মাঠ তলিয়ে যায়। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। একারনে আবাদি জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয়রা কৃষকদলে উদ্যোগে খাল পরিষ্কারে নামেন তারা।

বাচ্চু হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই খালের আগাছা পরিষ্কার হয় না। ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে ফসলি মাঠ তলিয়ে যায়। তাই নিজেরাই খাল পরিষ্কার শুরু করেছি।

কৃষক রফিকুল ও ইন্দ্রিস আলী বলেন, এই মাঠে হাজার হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে কৃষকরা। অবহেলিত সেচখালটি কচুরিপানা আর আগাছায় পরিপূর্ণ। কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়না। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসল তলিয়ে যায়। আবার খরার সময় ঠিক মতো পানি থাকেনা। তাই আমরা চাই খালটি খনন করে সচল করা হোক। খালটি সচল হলে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল জলাবদ্ধতা থেকে যেমন রক্ষা পাবে তেমনই জমিতে সেচ দেওয়া সহজ হবে।

সদর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আল মামুন বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে কৃষকদের রক্ষায় খালের পানি নিষ্কাশন ও পরিবেশ রক্ষায় খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে আমার কৃষকদলের নেতাকর্মী, স্থানীয় কৃষকরা ও বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে খাল পরিষ্কারে অংশ নেয়। আশা করি খালটি পরিষ্কারের মাধ্যমে ফসল রক্ষা পাবে।