দুই মাসে ২৩৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ
- আপডেট সময় : ০৭:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৬৬৪ বার পড়া হয়েছে
৯ম দফা অবরোধের ২য় দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গাজীপুরে দুটি এবং চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও নাটোরে একটি করে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারটি বাস ও দুটি ট্রাক, একটি কাভার্ডভ্যান ও একটি পিকআপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মহাসমাবেশের দিন থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ২৩৮টি যানবাহনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফের বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
অবোরোধের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাতভর নগরীর দামপাড়া ও আকবর শাহ এলাকায় দুটি বাসে আগুন ও কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় এক বাস চালক দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া পাহারতলী ও আগ্রাবাদ এলাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে আরো কয়েকটি গাড়িতে ভাংচুর করা হয়।
গাজীপুরের জিরানীতে চলন্ত বাসে ও চন্দ্রাতে খড় বোঝাই ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে ঢাকামুখী ঠিকানা পরিবহনের বাসের ভেতরের পেছন দিকের সিট থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এসময় চালক বাসটি থামালে যাত্রীরা নেমে যায়।
নাটোরে থেমে থাকা দুটি যাত্রীবাহি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
দিনাজপুরে সদর ফুলবাড়ি সড়কের জালিয়াপাড়া নামক স্থানেএবার খড় বোঝাই ট্রাকে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা। এতে গাড়ী ও ড্রাইভার-হেলপারের কোনো ক্ষতি না হলেও খড় পুড়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জাঙ্গালিয়ায় ঝটিকা মিছিল বের করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
অবরোধের সমর্থনে ময়মনসিংহে মশাল মিছিল করেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। রাতের মিছিলটি নগরীর পলিটেকনিক মোড় থেকে শুরু হয়ে চরপাড়া গিয়ে শেষ হয়।
জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হাট চন্দ্রায় গিয়ে শেষ হয়। বক্তারা একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
নোয়াখালীর সেনবাগ-ফেনী-সোনাইমুড়ি সড়কে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে নেতাকর্মীরা।
পাবনায় বিএনপি ও জামায়াতের আলাদা কমসূচিতে সড়কপথ, নৌপথ এবং রেলপথ অবরোধ করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখা।