জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুষ্টিয়া, শেরপুর, দিনাজপুর, সুনামগঞ্জ ও যশোরে পাঁচ জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুষ্টিয়া, শেরপুর, দিনাজপুর, সুনামগঞ্জ ও যশোরে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার উপসর্গে তাদের মুত্যুর পর এসব বাড়ির আশেপাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আর নিহতদের কারো কারো নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে দু’একজনের বিষয়ে ‘করোনা নয়’ বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক ও আইইডিসিআরের প্রতিনিধিরা।
কুষ্টিয়ায় চৌড়হাসে ৪০ বছর বয়সী এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনদিন ধরে তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি ও গলা ব্যাথা অনুভব করছিলেন। সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
দিনাজপুরের বিরামপুরে, কুমিল্লা থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে ফেরা এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগে সে কুমিল্লা থেকে জ্বর সর্দী কাশি নিয়ে বিরামপুরে আসে। ভয়ে কোন সরকারী হাসপাতালে না যেয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেলো রাতে বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আব্দুল আউয়াল নামের এক নির্মাণ শ্রমিক ৩ দিন জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা গেছেন। দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে গেলো রাত ১০টায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ১০টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব নতুনপাড়া এলাকায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সকালে জ্বর, শ্বাস কষ্ট ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে সবিতা রানী নামের ওই মহিলাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান। স্বজনরা মরদেহ বাড়ীতে নিয়ে দাহ্য করে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের জন্য নির্মিত আইসোলেশন ওয়ার্ডের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে। ১২ বছর বয়সের শিশুটিকে অভিভাবকরা রবিবার বিকেল সাড়ে চারটায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। সকালে সে মারা যায়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, ভর্তির সময় তার শারীরিক অবস্থার উপসর্গ দেখে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। মৃত্যুর পর আইইডিসিআর’র প্রতিনিধিরা উপসর্গ শুনে বলেছেন সে কোরানো আক্রান্ত ছিল না।