জানুয়ারি মাসে একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে

- আপডেট সময় : ০২:১২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
জানুয়ারি মাসে একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে । বর্তমানে দেশের ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। তবে সকালের কুয়াশা কাটিয়ে এরইমধ্যে রাজধানীতে রোদের দেখা মিলেছে।
সিরাজগঞ্জে তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনের মত কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা রয়েছে। এতে জনগণের দুর্ভোগও অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে জেলা সদর ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। তাড়াশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, অবস্থা আরও কয়েকদিন একই থাকবে।
দিনাজপুরে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তার হেডলাইন জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া থাকায় অনুভূত হচ্ছে শীত। নিম্ন তাপমাত্রায় আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। দিন দিন তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা উঠানামা শুরু করেছে। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বুধবার সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শীতের হাত থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ মানুষজন রাস্তার পাশে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
নড়াইলে শীতে জীবিকার দায়ে ভোর সকালেই কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছে। এদিকে শীতে ভ্যানচালকরা অনেকটাই বিপাকে পড়েছে। সকালে রাস্তায় বের হলেও যাত্রী পাচ্ছেনা। তীব্র শীতে সাতক্ষীরায় জনজীবন বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করেছেন বৃদ্ধ ও খেটে খাওয়া মানুষরা। শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
পৌষের মাঝামাঝিতে কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহে জনজীবন। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের কারণে সকালে ঘর থেকে বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। সুর্যের দেখা মেলার আগে মাঠ ঘাট থাকছে ফাঁকা। শীত থেকে একটু উষ্ণতা পেতে চায়ের দোকান ও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে অনেককে।
মানিকগঞ্জেও তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় যবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন।