চীনা হাসপাতালের স্থান নির্ধারণ নিয়ে টানাপোড়েন শেষ
- আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮৬২ বার পড়া হয়েছে
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চীনা হাসপাতালের স্থান নির্ধারণ নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হয়েছে। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীনের দেয়া উপহারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল। এরই মধ্যে হাসপাতালের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন এবং বিভিন্ন স্থাপনার ব্যয় প্রাক্কলন করতে গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। নীলফামারীসহ রংপুর অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি দ্রুত নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
রংপুর বিভাগের কোনো এক জেলায় এক হাজার শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করে বন্ধুরাষ্ট্র চীন। এমন খবর জানাজানি হলে নিজ নিজ জেলায় হাসপাতালটি স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন রংপুর বিভাগের সব জেলার মানুষ।
অবশেষে নীলফামারী জেলা সদরে এক হাজার শয্যার “বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল” স্থাপন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও বিভিন্ন স্থাপনার ব্যয় প্রাক্কলন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্থাপত্য ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে। এরই মধ্যে ডিজিটাল সার্ভে করতে প্রস্তাবিত স্থানটি পরিদর্শন করেছেন গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।
চীন সরকারের উপহারের এই হাসপাতাল নির্মাণের খবরে উচ্ছ্বসিত নীলফামারীর মানুষ। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই কাজ শুরু করার দাবি এলাকাবাসীর।
হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে খুব শিগগিরই নীলফামারী আসছেন চীন সরকারের নির্ধারিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল। প্রকল্পের স্থান চূড়ান্ত করতে চীনা টিমকে সহায়তার জন্য সম্প্রতি সাত সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য সেবায় পিছিয়ে পড়া জনপদ- নীলফামারীসহ বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুতই হাসপাতালটি স্থাপনে সরকার উদ্যোগী হবে– এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।





















