চিরাচরিত সেই ব্যস্ততা নেই চাঁদপুরের কামারপল্লীতে
- আপডেট সময় : ০৬:৩১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
- / ১৫৫৩ বার পড়া হয়েছে
ঈদুল আজহা উপলক্ষে চিরাচরিত সেই ব্যস্ততা নেই চাঁদপুরের কামারপল্লীতে। বছরের এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হলেও, করোনার কারণে এবারের চিত্র ভিন্ন। ব্যবসায় লাভের আশা তো দূরের কথা, লোকসান আতঙ্কে ভুগছেন কামাররা।
চাঁদপুরের কামাররা ছুরি, বটি, দা, চাপাতিসহ কোরবানিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি তৈরি করে রেখেছেন। কিন্তু করোনার কারণে তাদের কপালে পড়েছে দু:শ্চিন্তার ভাঁজ। এসব পণ্য প্রস্তুত করতে ঋণ নিয়েছে অনেকে। কিন্তু, মালামাল তৈরি করে রাখলেও নেই কোনো বেচা-কেনা। সারাবছর কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকেন তারা। গত বছরের মতো এবারও ক্ষতির আশংকা করছে কারিগররা।
এদিকে, সরঞ্জামের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। লোহা ও কয়লার দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় মালামালের বাজারে প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি করেন, বিক্রেতারা।
জেলায় কামারদের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা নেই। এছাড়া চায়না থেকে আমদানি করা সরঞ্জামের কারণেও ক্ষতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। নির্দিষ্ট জায়গার জন্য আবেদন করলে, সহযোগিতা করবেন বলে জানান, সংশ্লিষ্টরা।
চাঁদপুরে প্রায় দেড় শতাধিক দোকানে পাঁচ’শর বেশি কামার শিল্পী রয়েছে। এবছর প্রতিটি বটি তিন’শ থেকে আট’শ, দা সাড়ে তিন’শ থেকে আট’শ, বড় ছুরি চার’শ থেকে এক হাজার, ছোট ছুরি দু’শ এবং চাপাতি বিক্রি হচ্ছে সাত’শ থেকে ১২’শ টাকায়।






















