গেল আড়াই বছরে শুধু চট্টগ্রামের হালদা নদীতেই ২৮ টি ডলফিনের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে গাঙ্গেয় প্রজাতির মিঠা পানির ডলফিন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার নামের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটিও এই ডলফিনকে অতি বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গেল আড়াই বছরে শুধু চট্টগ্রামের হালদা নদীতেই ২৮ টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। যার অধিকাংশই ছিলো আঘাতজনিত। গবেষকরা বলছেন, অবৈধ বালি উত্তোলন, ইঞ্জিনচালিত নৌযানের বেপরোয়া বিচরনের পাশাপাশি মৎস্য আহরোণকারীদের সচেতন করে তুলতে না পারলে নদীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই প্রণিটির অস্তিত্ব আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
দেশিয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মাঝে মধ্যেই বিচরণ দেখা যায় গাঙ্গেও প্রজাতির এই ডলফিনের। হালদা পাড়ের মানুষ যাকে শুশুক নামেই চেনে। ডলফিন নিয়ে গবেষণাকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রজাতির ডলফিনকে অতি বিপন্ন প্রজাতির লাল তালিকায় রেখেছে। তাদের হিসেবে, বর্তমানে বিশ্বে মিঠা পানির নদীতে এই প্রজাতির ডলফিন আছে এক হাজারের কিছু বেশি। যার মধ্যে শুধু হালদা নদীতেই আছে দেড়শোর বেশি।
গেল আড়াই বছরে শুধু এই নদীতেই ২৮ টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ইঞ্জিন চালিত বোট আর অবৈধ ড্রেজার মেশিনের আঘাতের পাশাপাশি জেলেদের জালে পেচিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে অধিকাংশ। এছাড়া চামড়া আর চর্বির লোভেও বেশ কয়েকটি ডলফিনকে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানালেন, হালদা’র ডলফিন নিয়ে চিন্তা কারণ নেই। মা মাছ রক্ষায় উচ্চ আদালাত আর সরকারের নির্দেশনা শতভাগ মানলেই বিলুপ্তি থেকে রক্ষা পাবে গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিন।
ডলফিনের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ সব কর্মকাণ্ডই হালদায় নিষিদ্ধের কথা জানান হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বাংলাদেশের জলসীমায় এখন ১২ প্রজাতির ডলফিনের অস্তিত্ব মেলে। এরমধ্যে মিঠা পানিতে বিচরণ করে গাঙ্গেয় আর ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন। ডলফিনের তেল বিভিন্ন কবিরাজি ওষুধে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি চামড়া দিয়ে তৈরী হয় মাছ ধরার টোপ। এমন খবরে ডলফিন হত্যায় মেতে উঠেছে দুবৃত্তরা। ফুটেজ-১ ও ২