গাজীপুরে সন্তান হারানোর বেদনায় কাঁদছেন অনেক শহীদ পরিবার

- আপডেট সময় : ০৪:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
- / ১৫৭২ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরে সন্তান হারানোর বেদনায় কাঁদছেন অনেক শহীদ পরিবার। আহত অনেকে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে পঙ্গুত্বের পথে। তাদের প্রশ্ন, ন্যায়বিচার পাবেন কি তারা। এদিকে, হতাশা ব্যক্ত করে মামলা বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সমন্বয়করা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে- এমনটা বলছে পুলিশ।
ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে রাজপথে নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আন্ধার মানিক এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল মামুন। ৪ আগস্ট সফিপুরে আনসারদের সাথে আন্দোলনকারীদের সাথে চলে কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ। সেখানে গুলিতে মারা যান মামুন। একমাত্র ভাইকে হারানোর বেদনা নিয়ে পরিবারের চাওয়া বিচার।
এছাড়া আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাকার উদ্দেশ্য পায়ে হেঁটে রওনা দেন টঙ্গীর শাখাওয়াত হোসেন।উত্তরায় পৌঁছালে পুলিশের গুলিতে মারা যান। আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি হত্যার বিচার চান পরিবার।
এদিকে, গাজীপুর চৌরাস্তায় আন্দোলনে অংশ নেন ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার তুষার মুন্সি। পায়ে গুলির ক্ষত আর প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটছে তুষারের।
হতাশা ব্যক্ত করে মামলা বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানান এই সমন্বয়ক।
গাজীপুর জেলায় গেজেটভুক্ত নিহতের সংখ্যা ১৮ জন। এখনো নির্ধারিত হয়নি আহতের সংখ্যা। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলায় মামলা হয়েছে ২৩টি, মহানগরে আটটি, থানায় ৪৫টি।বেশিরভাগ মামলার প্রধান আসামি তৎকালীন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। এছাড়া আসামি রয়েছে কয়েক হাজার।