খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে আগাম তরমুজ চাষে হিমশিম অবস্থা চাষীদের

- আপডেট সময় : ০৫:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
- / ১৮৬২ বার পড়া হয়েছে
খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে আগাম তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। তবে তরমুজের বীজ, কীটনাশক, সার ও ডিজেলের দামবৃদ্ধির কারণে হিমশিম খাচ্ছে তারা। যদিও গত বছর তরমুজ চাষের লোকসান এড়াতে এ বছর ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। কৃষি অফিস বলছে, কোন অনাবাদি জমি পড়ে থাকবে না। আর জেলা প্রশাসক বলছেন, সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ানো হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাদেশে যে পরিমাণ তরমুজের চাহিদা রয়েছে তার একটি অংশ মেলে খুলনা থেকে। এখানকার তরমুজের স্বাদ ভাল। ফলে দেশজুড়ে এর বাড়তি চাহিদা আছে। জেলার ৫ উপজেলায় তরমুজ চাষ করেন কৃষকরা। গত বছর দেরি করে বোরো ধান চাষ, সার সংকট এবং রোজা শেষ হয়ে যাওয়ায় তরমুজের ভাল দাম না পেয়ে লোকসান গুণতে হয় চাষীদের। তাই আসন্ন রমজান মাসে বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে আগেভাগেই তরমুজ চাষে নেমেছেন
তারা।
চলছে জমি তৈরি, পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও করছেন বীজ বপন ও ক্ষেত পরিচর্যার কাজ। তবে এবার তরমুজের বীজ, সার এবং কীটনাশকের দাম আরও বেড়ে যাওয়ায় তরমুজ চাষে হিমশিম খাচ্ছেন চাষীরা। অভিযোগ করে বলেন, সব উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্থ তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলছেন, গেল ২ বছরে তরমুজের সঠিক মূল্য না পাওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষীরা।
শুধু বটিয়াঘাটা উপজেলায় গত অর্থ বছরে ৩ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। এ বছরও একই টার্গেট তাদের। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কোন অনাবাদি জমি ফেলে রাখা হবে না।।
আর খুলনা জেলা প্রশাসক বলছেন, জেলায় সারের কোন সংকট নেই। জেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত কৃষি অফিসারের তত্ত্ববধানে সার বিক্রয় ও বিপণন করা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
জেলা কৃষি অফিস বলছে, খুলনায় এ বছর ১৪ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হবে। এরমধ্যে ৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে শুরু হয়েছে তরমুজের আগাম চাষ।