নতুন উদ্যমে কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে চান চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
- / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ করায় এবার নতুন উদ্যমে কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে চান চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। তবে, মৌসুমী ব্যবসায়ী আর ফরিয়ারা অন্যবারের মতো সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে বিভ্রান্ত হলে, চামড়ার গুনগত মান নষ্ট হতে পারে বলে আশংকাও
তাদের। আড়ৎদাররা বলছেন, লবনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া আর শ্রমিক সংকটের কারণে চামড়া সংরক্ষণের খরচ বেড়েছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, ভ্যাপসা গরমে এবার চামড়ার জন্য আবহাওয়া প্রতিকুল। তাই বিক্রির আশায় আড়তে আড়তে না ঘুরে চামড়াকে দ্রুত লবনজাত করার পরামর্শ তাদের।
ঢাকার ট্যানারী মালিকরা বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায়, পুঁজি সংকটে গেলো তিন বছর ধরে প্রত্যাশিত চামড়া সংগ্রহ করতে পারেননি চট্টগ্রামের আড়ৎদাররা। ফলে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে, বিপুল পরিমান চামড়া রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ী আর ফরিয়ারা।
তবে এবার সেই শঙ্কা নেই। সরকারের নানামুখি তৎপরতায় ২০১৯ সাল থেকে সব পাওনা পরিশোধ করেছেন ট্যানারী মালিকরা। ফলে নতুন উদ্যোগে চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চট্টগ্রামের কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা। তবে এক্ষেত্রে ট্যানারি মালিকদের সহায়তা চেয়েছেন আড়ৎদার সমিতি।
ব্যবসায়িরা বলছেন, গেলো বারের চেয়ে লবনযুক্ত চামড়ার দাম বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু লবন আর শ্রমিকের দাম বেড়েছে আরো বেশি।
প্রণি সম্পদ বিভাগ বলছে, চামড়ার গুণগত মান ঠিক রাখতে যত দ্রুত সম্ভব লবণজাত করতে হয়। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ি আর আড়ৎদারদের মধ্যে ঠিক মত বোঝাপড়া না হওয়ায়, লবন দিতে দেরি হয়। ফলে নষ্ট হয় চামড়ার গুনগত মান।
মৌসুমি ব্যবসায়ি আর ফরিয়ারা বাড়ি বাড়ি থেকে চামড়া সংগ্রহ করে আড়ৎদাদের কাছে বিক্রি করে। আরৎদাররা তা লবন দিয়ে সংরক্ষণের পর ট্যানারিতে পাঠায়। ৩/৪ হাত ঘোরায় প্রান্তিক পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হয় প্রতি বছর।





















