কুয়েতে গণহারে নাগরিকত্ব বাতিল

- আপডেট সময় : ০৫:১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / ১৫৫৩ বার পড়া হয়েছে
কুয়েতে নাগরিকত্ব বাতিলের পদক্ষেপকে দেশটির নতুন আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-সাবাহর গৃহীত সংস্কারমূলক এজেন্ডার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি বেশ কয়েকটি সাহসী ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সংসদ বাতিল ও সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সর্বশেষ পদক্ষেপটি মূলত কুয়েতি পরিচয়ের পুনর্গঠন এবং রাষ্ট্রীয় নীতির পুনর্বিন্যাসের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত রক্ত সূত্রে কুয়েতিদের নাগরিকত্ব সীমিত রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিকীকরণ বা প্রশাসনিক বিবেচনায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তারা এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
নাগরিকত্ব বাতিলের এই প্রক্রিয়া ভোটার সংখ্যায়ও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কুয়েত দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সম্মুখীন, যেখানে নির্বাহী ও আইনপ্রণেতা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘাত প্রায়শই দেখা গেছে। আমির শেখ মিশাল রাজনৈতিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়াতে ও শাসনব্যবস্থাকে আরও দৃঢ় করতে এই পদক্ষেপগুলো নিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তবে সরকার বলছে, এ ধরনের সংস্কার রাষ্ট্রীয় স্বার্থে প্রয়োজনীয় এবং কুয়েতি সমাজের মৌলিক কাঠামো রক্ষায় সহায়ক হবে।
নাগরিকত্ব বাতিলের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে এটি স্পষ্ট যে, নতুন আমিরের অধীনে কুয়েত একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক পথে যাত্রা শুরু করেছে।