কুড়িগ্রামে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের মানুষের। গেলো ২ মাসে ভাঙ্গনের কবলে ভিটেমাটি হারিয়েছে অন্তত ৩ শতাধিক পরিবার। হুমকিতে রয়েছে আরও হাজার হাজার পরিবারসহ সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা ও ফসলি জমি। এদিকে, বর্ষায় ভাঙ্গন মোকাবিলায় প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

প্রতি বছর বর্ষা আসলেই ভাঙ্গন তীব্র হয়ে উঠে কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের দুই পাড় জুড়ে।

ভুক্তভোগীরা জানান, বর্ষা শুরুর আগেই উজানের ঢলের ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়েছে অনেকেই।ভাঙ্গনে হাজার হাজার পরিবার নি:স্ব হলেও সরকারি ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তাদের।

বারবার নদীর কবলে পড়া বাসিন্দাদের আঁকুতি এবার ভাঙ্গনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। তা নাহলে নি:স্ব হয়ে পড়বে আরও অসংখ্য পরিবার।

নদ-নদীর ভাঙ্গন কবলিত ২০টি পয়েন্টের মধ্যে ১৪টি পয়েন্টে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী প্রতিরোধের কাজ চলমান রয়েছে। জানান স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ’ কর্মকর্তা।

জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের দুইপাড়ের দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩শ কিলোমিটারের বেশি। এরমধ্যে অরক্ষিত পাড় রয়েছে ৩শ’ কিলোমিটার।