কিংবদন্তী ফুটবলার ম্যারাডোনার চিরবিদায়ে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া

- আপডেট সময় : ০৭:১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
১৯৮২ থেকে ৮৬ বিশ্বকাপ। এর মধ্যেই আসে তারকাখ্যাতি। দিয়েগো ম্যারাডোনার কোটি কোটি ভক্ত তৈরি হয় বিশ্বজুড়ে। তবে, খেলাকে বিদায় জানানোর পর থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ফুটবলের ঈশ্বরকে। মাদক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।
ফুটবলের ঈশ্বর। এই খেতাবই বলে দেয় তার ফুটবলপ্রীতি। ১৯৬০’র ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আইরেসে জন্ম নেন এই বিস্ময় বালক। কৈশোর পেরোনোর আগেই বল পায়ে যাদু দেখানো শুরু করেন। তিনি কিংবদন্তি। তিনি দিয়েগো ম্যারাডোন
ক্যারিয়ারের শুরুতে, ষোল বছর বয়সেই ইতিহাস। আর্জেন্টিনার প্রিমিয়ার ডিভিশনের সবচেয়ে কমবয়সি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে গড়ায় তার বল, অভিষেক হয় ম্যারাডোনার। পরে ২১ বছর বয়সে বোকা জুনিয়র্সেই সাইন করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।
৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল ম্যারাডোনার। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলে এই রেকর্ড তার। খেলেছেন চার চারটি ফিফা বিশ্বকাপ।
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানিকে ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতে তাক লাগিয়ে দেন বিশ্বকে। এই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার গোলটি খ্যাতি পায় হ্যান্ড অব গড হিসেবে।
অগোছালো আর্জেন্টিনাকে আবারো নিয়ে গেছেন ফাইনালে ১৯৯০’র বিশ্বকাপে। কিন্তু শিরোপা এবার ধরা দেয়নি। ম্যারাডোনার কান্নার আবেগে পশ্চিম জার্মানি তুলে নিয়েছিল শোধ।
আন্তর্জাতিক ক্লাব ক্যারিয়ারেও উজ্জ্বল ম্যারাডোনা। ১৯৮২ সালে সে সময়কার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে নাম লেখান স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায়। তারপর ইতালিয়ান নাপোলিকে তিন বছরে দু’বার জিতিয়েছেন লিগ শিরোপা, স্প্যানিশ সেভিয়া ঘুরে নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস। আবার ফিরেছেন বোকা জুনিয়র্সে। ২১ বছরে ফুটবল জীবনে ৬৭৯ ম্যাচে করেছেন ৩৪৬ গোল।
ফুটবলের বরপুত্র ম্যারাডোনা, নানা কারণে সমালোচিত মাঠের বাইরে। জন্ম দিয়েছেন নানা বিতর্কের। বিশ্বখ্যাত ফুটবলারের কোকেন আসক্তি কষ্ট দেয় ভক্তদের। ব্যক্তিগত জীবনেও নানা উছৃঙ্খলতায় এতটুকু রাশ টানেনি ভক্ত হৃদয়ে।
না ফেরার দেশে ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তী। মরেও অমর হয়ে থাকবেন তার অনবদ্য ফুটবল কৌশলীর জন্য।