১১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে ফ্রি ট্রেইড জোনের পরিকল্পনা সরকারের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ পাড়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ফ্রি ট্রেইড জোন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে এটি পর্যালোচনায় জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এতে বিদেশী বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরীর পাশাপাশি দেশিয় উদ্যোক্তারাও লাভবান হবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। আর নগরবিদরা বলছেন সঠিক সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া প্রকল্প নিলে হিতে-বিপরীত হতে পারে।

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ফ্রি-ট্রেড জোন তৈরীর পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তি সরকার। যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কাঁচামাল এনে প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানী করতে পারবে। এখানে কাস্টমসের কড়াকড়ি না থাকলেও দিতে হবে সুনির্দিষ্ট ভাড়া বা সার্ভিস চার্জ। যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।

অন্তর্বর্তি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরীর এই সহজ পন্থা নিয়ে চিন্তা করছে বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড-বিডা। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি টানেল পার হয়ে আনোয়ারায় নদী পাড়ের এই বিস্তীর্ণ জমিতে ফ্রি টেইড জোন বা মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা করছে তারা।

ফ্রি ট্রেইড জোনের সামগ্রিকতা পর্যালোচনায় জাতীয় কমিটি গঠন করেছে বিডা। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করতে চায় তাঁরা। নতুন বিদেশী বিনিয়োগের এই সুযোগকে ইতিবাচক ভাবছেন ব্যবসায়ীরা।

সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরের খুব কাছে হওয়ায় এলাকাটি ঘিরে বিদেশী বিনিয়োগের ভালো সাড়া পাবার আশা বিডার। তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছে, আগামী ১শ বছরে চট্টগ্রাম শহরের বৃদ্ধিকে মাথায় রেখেই এমন ট্রেইড জোনের পরিকল্পনা করতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, কর্ণফুলির দক্ষিণ পাড়ে প্রায় এক দশক আগে ঘোষিত চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এখনও অংকুরেই আছে। এই বাস্তবতায় এই ট্রেড জোন কতোটা কার্যকর হবে সেটিও নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের তোড়জোড় যখন চলছিলো তখন এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ঘাটতি ছিলো কর্ণফূলী টানেল বাস্তবায়নের পর যে প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে ফ্রি ট্রেইড জোনের পরিকল্পনা সরকারের

আপডেট সময় : ০২:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ পাড়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ফ্রি ট্রেইড জোন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে এটি পর্যালোচনায় জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এতে বিদেশী বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরীর পাশাপাশি দেশিয় উদ্যোক্তারাও লাভবান হবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। আর নগরবিদরা বলছেন সঠিক সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া প্রকল্প নিলে হিতে-বিপরীত হতে পারে।

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ফ্রি-ট্রেড জোন তৈরীর পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তি সরকার। যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কাঁচামাল এনে প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানী করতে পারবে। এখানে কাস্টমসের কড়াকড়ি না থাকলেও দিতে হবে সুনির্দিষ্ট ভাড়া বা সার্ভিস চার্জ। যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।

অন্তর্বর্তি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরীর এই সহজ পন্থা নিয়ে চিন্তা করছে বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড-বিডা। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি টানেল পার হয়ে আনোয়ারায় নদী পাড়ের এই বিস্তীর্ণ জমিতে ফ্রি টেইড জোন বা মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা করছে তারা।

ফ্রি ট্রেইড জোনের সামগ্রিকতা পর্যালোচনায় জাতীয় কমিটি গঠন করেছে বিডা। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করতে চায় তাঁরা। নতুন বিদেশী বিনিয়োগের এই সুযোগকে ইতিবাচক ভাবছেন ব্যবসায়ীরা।

সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরের খুব কাছে হওয়ায় এলাকাটি ঘিরে বিদেশী বিনিয়োগের ভালো সাড়া পাবার আশা বিডার। তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছে, আগামী ১শ বছরে চট্টগ্রাম শহরের বৃদ্ধিকে মাথায় রেখেই এমন ট্রেইড জোনের পরিকল্পনা করতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, কর্ণফুলির দক্ষিণ পাড়ে প্রায় এক দশক আগে ঘোষিত চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এখনও অংকুরেই আছে। এই বাস্তবতায় এই ট্রেড জোন কতোটা কার্যকর হবে সেটিও নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের তোড়জোড় যখন চলছিলো তখন এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ঘাটতি ছিলো কর্ণফূলী টানেল বাস্তবায়নের পর যে প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে।