করোনার প্রভাবে ধস নেমেছে দেশের গাড়ি ব্যবসায়

- আপডেট সময় : ০২:২৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
করোনার প্রভাবে ধস নেমেছে দেশের গাড়ি ব্যবসায়। সরকারি প্রণোদনা বা সহজ শর্তে ঋণের যোগান না হলে, আর কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না এই ব্যবসাটি-এমন দাবি উদ্যোক্তাদের। করোনা মোকাবিলায় বিষেশ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্তিসহ খাত অনুযায়ী সরকারের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা চান তারা।
জাপানের ব্যবহৃত গাড়ি আমদানী করে দেশের বাজারে বিক্রির মধ্য দিয়ে রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসা শুরু হয় বহু আগে। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাড়তে থাকে এ খাতের ভবিষ্যত। শুরুতে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসা করলেও এখন এই খাতে উদ্যোক্তা ৮ শতাধিক। গেলো বছর পর্যন্ত মোটামুটি চাঙ্গা থাকলেও চলতি বছরের শুরুতে চীনে করোনা ভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর মন্দা নামে গাড়ি ব্যবসায়। আর মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে অঘোষিত লকডাউনে নেমে আসে স্থবিরতা।
উদ্যোক্তারা বলছেন, শোরুম ভাড়া, স্টাফদের বেতন ভাতা সব মিলিয়ে প্রতিটি মাসে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন এই ব্যয় বহন করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই অন্তত ৬ মাসের খরচ প্রণোদনা অথবা সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা না হলে অর্ধেক ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে যাবে। ফুটেজ-২
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের আলাদা প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এই খাতটি রয়েছে সরকারের দৃষ্টির বাইরে। তাছাড়া চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আমদানী করা কয়েক হাজার গাড়ি আটকে আছে।লকডাউনে এসব গাড়ি ছাড়াতে না পারলেও, বন্দরের ও শিপিং এজেন্টের চার্জ বাড়ছে চক্রবৃদ্ধি হারে। ফুটেজ-১
করোনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে, তাতে গাড়ির কাস্টমার আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে অন্তত এক বছর। তাই এই সময়টা টিকে থাকতে সরকারের সহযোগীতা চান রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারবিডা।