করোনার থাবায় একাধিক প্রাণহানি ও আক্রান্তের ঘটনায় চা শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক
- আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
করোনার থাবায় একাধিক প্রাণহানি ও আক্রান্তের ঘটনায় চা শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। তবুও থেমে নেই চা বাগানের দৈনন্দিন কর্মতৎপরতা। সংক্রমণ সর্কতায় সারাদেশে সরকার সাধারণ ছুটি থাকলেও দেশের ১৬৬টি চা বাগানে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন দেড় লাখ শ্রমিক। কর্তৃপক্ষ বলছেন, চা বাগানে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ। আবার বাগান থেকে বাইরে বের হওয়ার ওপর আরোপ আছে কড়াকড়ি। চা বাগানের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে লোকসান গুণতে হবে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশের চা বাগানে শিশুসহ চার জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর বহু চা শ্রমিক এ ভাইরাসে আক্রান্ত। এ খবর জানাজানি হওয়ায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে চা শ্রমিকদের মধ্যে।
করোনা ভাইসার সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দেশের ১৬৬টি চা বাগানের প্রায় দেড় লাখ চা শ্রমিক কাজ করছে।
করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি করোনা উপসর্গ নিয়ে বহু শ্রমিক চা বাগানে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কর্মরত দেড় লাখ চা শ্রমিকের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্য মিলে চা বাগানের ১০ লাখ মানুষ রয়েছে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে। সপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন শত শত শ্রমিক দল বেধে কাজ করছে চা বাগানে।
করোনা সম্পর্কে ধারনা না থাকার কথা স্বীকার করে, চা শ্রমিকদের সংগঠন লেবার হাউজের নির্বাচিত শ্রমিক নেতা জানান, কেউ আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে চা বাগানে আট নির্দেশনা দিয়েছে চা বোর্ড । এসব নির্দেশনা মেনেই কাজ করছে শ্রমিকরা। আর নির্দিষ্ট সময়ে চা পাতা চয়ন না করলে, গাছের ক্ষতি হবে।
শ্রমিকরা বাসস্থানে গাদাগাদি করে থাকে। সেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি। বরং বাগানে কাজ করা নিরাপদ বলে জানান, বাংলাদেশ চা সংসদ, সিলেটের চেয়ারম্যান।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে চা বাগানে শ্রমিকদের কাজের সুব্যবস্থা হবে-এমনটাই প্রত্যাশা করেন চা শ্রমিকরা।