করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি কোনো রোগীর অস্তিত্ব

- আপডেট সময় : ০২:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০
- / ১৫৬৭ বার পড়া হয়েছে
প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি কোনো রোগীর অস্তিত্ব । জেলাজুড়ে পুলিশ রেবের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও গণ পরিবহণ। জনশুন্য চিরচেনা শহরের প্রধান সড়কসহ অলি গলি। প্রত্যন্ত গ্রামের হাটবাজারেও নেই কোন কোলাহল। করোনার সংক্রমন ঠেকাতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা চালাচ্ছেন জনসচেতনতামূলক প্রচারণা।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে কাঁপছে প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার। সাত উপজেলায় কয়েক লাখ নারী-পুরুষ পরিবার পরিজন নিয়ে লন্ডনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকেন। বছর জুড়েই তারা দেশে আসা যাওয়া করেন। ঝুকিপূর্ণ এলাকায় করোনা ঠেকাতে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রশাসন হাত ধোয়া ও মাস্ক বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে থাকলে, তড়িঘড়ি করে কয়েক হাজার প্রবাসী দেশে ফিরেন। তাদের বেশিরভাগ হোম কোয়ারেন্টিন লঙ্গণ করে জনসম্মূখে ঘুরাফেরা করায়, জনমনে সৃষ্ট ভীতি কাটাতে পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন চালাচ্ছে প্রচারণা। ৪৯৩ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৫৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এখনো জেলায় কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলে জানালেন সিভিল সার্জন।
হঠাৎ করেই প্রতিরক্ষামূলক মাস্কসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর দাম বাড়ার কথা স্বীকার করলেন পুলিশ সুপার। সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দেন তিনি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রশাসকের নির্দেশে দোকানপাট ও গণ পরিবহণ এবং লোকসমাগম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে জেলার ৯৩টি চা বাগানে সব ধরনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনার সংক্রম ঠেকাতে চা-বাগানে দেশি মদ তৈরির পাট্রাগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।