করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলাকে
- আপডেট সময় : ১১:৩৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০
- / ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলাকে। খোলা রাখার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোর ক্ষেত্রেও। এত কড়াকড়ির মধ্যেও চট্টগ্রামের বাজারগুলোর চিত্র আলাদা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা তো দূরের কথা, গাদাগাদি করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে সবাই। দু’পক্ষই বলছেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে আইন অমান্য করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ঠেকানো যাবে না করোনার ভয়াবহতা।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার ফিসারী ঘাটের চিত্র এটি। মাছের যোগান কিছুটা কম থাকলেও মানুষের অভাব নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাক। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা ম্লান হয়েছে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে। এমনটাই বললেন এই বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা।
একই চিত্র কর্ণফূলী মার্কেট কাঁচা বাজারের। চলমান লকডাউনে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আইন প্রয়োগে কিছুটা নমনীয় থাকার সুযোগ নিচ্ছে সবাই। পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে দুরত্ব বজায় রাখার মার্কিং নির্ধারণ করা হলেও কাঁচা বাজারে তেমনটা নেই।
তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ক্রেতাদের দায়িত্ব। আর তাদের কাজ বাজারকে জীবাণুমুক্ত করা। সেটা করছেনও নিয়মিত। আর ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে, সাধারণ মানুষকে ঘরবন্দী করতে প্রশাসনের লোকজন রাস্তায় যতটা তৎপর, গলিপথ আর বাজারগুলোতে তার ছিটে ফোটাও নেই। এতে পুরো প্রক্রিয়াটায় ব্যর্থ হবার আশংকা আছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যে কোন মুল্যে সব ধরণের জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই বাস্তবতায় বাজারগুলোতে মানুষের গাদাগাদি ঠেকাতে কঠোর হবার পরামর্শ তাদের।




















