করোনা পরীক্ষায় সরকারি ব্যয়ে সাড়ে চারশো কোটি টাকার গরমিল

- আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
করোনা পরীক্ষায় সরকারি ব্যয়ে সাড়ে চারশো কোটি টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনের তুলনায় তাদের দেয়া জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের তথ্যে প্রায় ১৫ লাখ নমুনা পরীক্ষা বেশি দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে বাড়িত খরচও। ঘটনার রহস্য উদঘাটন না করলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্পের্ক মানুষের আস্থার সংকট বাড়েব বেল মনে করে টিআইবি। আর রেপিড টেস্টের কারণে সংখ্যা এবং খরচ বেশি হতে পারে বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
করোনায় নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সরকারি ব্যয় নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে নানা সমালোচনা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ৯ জুলাই জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে করোনাকালীন নিজেদের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরে সমালোচনার জবাব দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, নয় জুলাই পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮১টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। টেস্ট প্রতি ৩ হাজার টাকা খরচ উল্লেখ করে ব্যয় দেখানো হয়েছে এক হাজার নয়শ ৫২ কোটি টাকা। আর বিজ্ঞাপন প্রচারের আগের দিন ৮ জুলাই অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, ৫০ লাখ ২১ হাজার ২শ ২১টি নমুনা পরীক্ষা করে অধিদপ্তর। এ হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ নমুনা পরীক্ষা বেশি দেখানো হয়। যার খরচ চারশ কোটি টাকার অধিক।
বিষয়টি জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাক্তার রোবেদ আমিন বলেন, রেপিড টেস্টের কারণে আট জুলাইয়ের চেয়ে ৯ জুলাই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।নয় জুলাইয়ের বিজ্ঞাপন এবং ১১ জুলাইয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন মিলিয়েও এই কর্মকর্তার বক্তব্যের সত্যতা মেলেনি। রেপিড টেস্টের কারণে ৯ জুলাইয়ের চেয়ে ১১ জুলাই নমুনা পরীক্ষা বাড়ার কথা থাকলেও সেখানেও পরিসংখ্যানে বিস্তর ফারাক দেখা যায়।
পরিসংখ্যানে নয়-ছয় করে দুর্নীতির সুযোগ নেয়া হতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক। নয় জুলাই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা অন্যান্য কর্ম-কান্ডের মধ্যেও দুর্নীতিকে জায়েজ করা হয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন টিআইবির এ কর্মকর্তা।