কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আসার পর ১২ হাজার একর সরকারি বনভূমি দখল

- আপডেট সময় : ১২:০৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আসার পর দখল হয়েছে ১২ হাজার একর সরকারি বনভূমি। একইভাবে ৯ উপজেলা ও ৪ পৌরসভায় হাজার হাজার একর জমি বেহাত রয়েছে। সেই জমি উদ্ধারের চেষ্টা না করে মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি এলাকায় সরকারি জমি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বনবিভাগ। সরকারি দু’টি দপ্তরের এমন কাণ্ডে সমালোচনা চলছে পর্যটক ও স্থানীয় সচেতন মহলে।
মেরিন ড্রাইভের হিমছড়িতে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে রামুর এসিল্যান্ডের সাথে বন কর্মকর্তার তর্কের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে নেটিজনদের মধ্যে ঝড় উঠে সমালোচনার।
মেরিন ড্রাইভের পাশে হিমছড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা ‘কফিশপ’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ। ৪ একর ৮০ শতক জমিতে এই বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ দাবি করে উচ্ছেদ অভিযান চালান রামুর সহকারী কমিশনার। এসময় কফিশপের জমির মালিকানা দাবি করে অভিযানে বাধা দেয় দক্ষিণ বন বিভাগ কর্মকর্তারা। সরকারি উভয় বিভাগের কর্মকর্তাদের মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
হিমছড়ির এই ঝর্ণা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্পট হওয়ায় বহুগুণ কদর বেড়ে যায় ওই জমির। ফলে মালিকানা চেয়ে বসে দুই বিভাগ। বনবিভাগের দাবি, ওই জমি তাদের আর জেলা প্রশাসন বলছে ১নং খাস খতিয়ান।
১৯৮০ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী হিমছড়ি ঝর্ণা, জাতীয় উদ্যান, নিসর্গ ও আশপাশের এলাকাগুলো সংরক্ষিত বনভূমি হলেও বিরোধীয় এই জমি ২০১০ সালে খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ফলে বৈধভাবে ওই জমির মালিক জেলা প্রশাসন।
এদিকে, মালিকানা যারই হোক না কেন, সরকারি জমি নিয়ে দু’টি দপ্তরের রশি টানাটানিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল।