রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে একটি ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের প্রস্তাব অধিকাংশ দল সমর্থন করেছে।”

তবে ইলেকটোরাল কাঠামো কেমন হবে, কারা এতে থাকবেন, কীভাবে সদস্য নির্বাচন হবে—এসব বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান সাকি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের রাজনৈতিক সংস্কার এবং ভবিষ্যতের শাসন কাঠামো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা গড়ে তুলতে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং সংবিধান সংশোধনসহ রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে মতবিনিময় করেন। জামায়াতে ইসলামী চলমান ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়নি বলে জানা গেছে।

কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কাঠামো এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বিষয়ে আরও বিস্তারিত প্রস্তাব আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।