১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবারের বর্ষায়ও হাবুডুবু খাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবারের বর্ষায়ও হাবুডুবু খাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এখনো অধিকাংশ খালের মুখ বন্ধ করে রেখেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ। তাদের দাবি সক্ষমতার সবটুকু দিয়ে কাজ করলেও জুনের শেষ সপ্তাহর আগে বন্ধ খালগুলোর মুখ খুলে দেয়া সম্ভব হবে না। আর পুরো কাজ শেষ করতে সময় লাগবে আরো অন্তত দের বছর। আর নগরবিদ ও গবেষকরা বলছেন, সরকারের মনিটরিং আর জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় করেও সুফল আসছে না। এতে ক্ষোভ বাড়ছে নগরবাসীর মধ্যে।

মাত্র এক ঘন্টার বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে যার পরিমান ছিলো মাত্র ২৭ মিলিমিটার। আর এতেই জলমগ্ন বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার এই সংকট বহুকাল আগের। কিন্তু এমন দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ২০১৭ সালে সিডিএ আর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আলাদা তিনটি প্রকল্প দেয় সরকার। কথা ছিলো ২০২০ সালের মধ্যেই নিরসণ হবে সংকট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর আরো এক বছর কেটে গেছে, এখন সিডিএ বলছে কাজ শেষ হতে আরো দেড় বছর সময় লাগবে। এতে ক্ষুব্দ গবেষকরা।

নগরজুড়ে বিস্তৃত ৫৭ টি খালের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয় নদী ও সাগরে। চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মধ্যে ৩৬ টি খান সংস্কার, পুনরুদ্ধার ও খালের মুখে স্লুইচ গেইট এবং জলাধার নির্মাণ করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। এসব কাজ করতে গিয়ে প্রায় সবকটি খালের মুখ এখন বন্ধ। যা খুলে দিতে সময় লাগবে আরো। আর এই সময়ে বৃষ্টি হলে তার দায় থাকবে না কারো। বলছে সিডিএ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জবাবদিহিতা আর নজরদারির অভাবে রাষ্ট্রের টাকা আর সময় ব্যয় হলেও তার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এতে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে পারছে না জনগণ।

স্বাভাবিক সময়ও ভরা জোয়ারের পানি চলে আসে খালগুলোতে। আর এই সময় বৃষ্টি হলে নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় জলজটের। তাই প্রধান খালগুলোর মুখে স্লুইচ গেইট আর ভেতরের দিকে নির্মাণ করা হচ্ছে জলাধার। এতে বর্ষার সময় খালগুলোতে ঢুকতে পারবে না জোয়ার; একই সাথে জলাধারে জমবে বৃষ্টির পানি। তাই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ অনেকটাই নিরসন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এবারের বর্ষায়ও হাবুডুবু খাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম

আপডেট সময় : ০২:০৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

এবারের বর্ষায়ও হাবুডুবু খাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এখনো অধিকাংশ খালের মুখ বন্ধ করে রেখেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ। তাদের দাবি সক্ষমতার সবটুকু দিয়ে কাজ করলেও জুনের শেষ সপ্তাহর আগে বন্ধ খালগুলোর মুখ খুলে দেয়া সম্ভব হবে না। আর পুরো কাজ শেষ করতে সময় লাগবে আরো অন্তত দের বছর। আর নগরবিদ ও গবেষকরা বলছেন, সরকারের মনিটরিং আর জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় করেও সুফল আসছে না। এতে ক্ষোভ বাড়ছে নগরবাসীর মধ্যে।

মাত্র এক ঘন্টার বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে যার পরিমান ছিলো মাত্র ২৭ মিলিমিটার। আর এতেই জলমগ্ন বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার এই সংকট বহুকাল আগের। কিন্তু এমন দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ২০১৭ সালে সিডিএ আর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আলাদা তিনটি প্রকল্প দেয় সরকার। কথা ছিলো ২০২০ সালের মধ্যেই নিরসণ হবে সংকট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর আরো এক বছর কেটে গেছে, এখন সিডিএ বলছে কাজ শেষ হতে আরো দেড় বছর সময় লাগবে। এতে ক্ষুব্দ গবেষকরা।

নগরজুড়ে বিস্তৃত ৫৭ টি খালের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয় নদী ও সাগরে। চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মধ্যে ৩৬ টি খান সংস্কার, পুনরুদ্ধার ও খালের মুখে স্লুইচ গেইট এবং জলাধার নির্মাণ করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। এসব কাজ করতে গিয়ে প্রায় সবকটি খালের মুখ এখন বন্ধ। যা খুলে দিতে সময় লাগবে আরো। আর এই সময়ে বৃষ্টি হলে তার দায় থাকবে না কারো। বলছে সিডিএ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জবাবদিহিতা আর নজরদারির অভাবে রাষ্ট্রের টাকা আর সময় ব্যয় হলেও তার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এতে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে পারছে না জনগণ।

স্বাভাবিক সময়ও ভরা জোয়ারের পানি চলে আসে খালগুলোতে। আর এই সময় বৃষ্টি হলে নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় জলজটের। তাই প্রধান খালগুলোর মুখে স্লুইচ গেইট আর ভেতরের দিকে নির্মাণ করা হচ্ছে জলাধার। এতে বর্ষার সময় খালগুলোতে ঢুকতে পারবে না জোয়ার; একই সাথে জলাধারে জমবে বৃষ্টির পানি। তাই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ অনেকটাই নিরসন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।