আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের প্রাচীনতম বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ—ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক গুরুতর ত্রুটি ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতার অভিযোগে সংস্থাটির লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

ডিজিসিএ’র এক মুখপাত্র আজ সোমবার জানান, “ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে যে তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে, তা উদ্বেগজনক। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা নির্দেশনা এয়ার ইন্ডিয়া অমান্য করেছে, যা যাত্রীদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।”

ডিজিসিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়াকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দিলে সংস্থাটির ফ্লাইট পরিচালনার লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনার ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে এবং তারা ডিজিসিএ’র সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। একইসঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত পুরোনো বিমান সংস্থা, যা বর্তমানে টাটা গ্রুপের মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। নিরাপত্তা ও মান বজায় রাখা নিয়ে অতীতে একাধিকবার বিতর্কে জড়ালেও এবারের পরিস্থিতিকে সবচেয়ে সংকটজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আর এই ঘটনায় সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহণ নীতির ওপরও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখন দেখার বিষয়, এয়ার ইন্ডিয়া ডিজিসিএ’র শর্ত পূরণ করতে পারে কিনা, নাকি ভারতের আকাশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ঐতিহ্যবাহী বিমান সংস্থার উড়াল।