এবার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ আদায়ের চিন্তা করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
- আপডেট সময় : ০২:২১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
আর্থিক সংকট মেটাতে এবার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ আদায়ের চিন্তা করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। প্রাথমিকভাবে বন্দর, কাস্টমস ও ইপিজেড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই বাড়তি এই টাকা আদায় করতে চায় কর্পোরেশন। প্রশাসকের দাবি বাড়তি আদায় করা এই টাকা তাদের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। আর নগরবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ ভালো কিন্তু এতে আইনগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যা নিরসনে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকেই।
করোনার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হওয়ায় গত মাসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করে সরকার। দায়িত্ব নিয়ে নানান প্রতিবন্ধকতার মাঝে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সংকটে পড়েন প্রশাসক। উপায়ন্তর না পেয়ে নানান শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিদের সমন্ময়ে পরামর্শক কমিটি নিয়োগ করেন তিনি। শনিবার এবিষয়ে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সবচেয়ে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য ও কার্যকরি পরামর্শ আসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে সার্ভিস চার্জ আদায় সংক্রান্ত যা ব্যায় করা হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশের উন্নয়নে।
হোল্ডিং ট্যাক্সের বাইও সার্ভিস চার্জ আদায়ের এমন নজির সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসে না থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে। তাই নতুন নজির স্থাপন করতে হলে সমস্ত স্টেকহোল্ডরদের সঙ্গে বসে তাদের মতামত নিয়ে করতে হবে বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আইনগত কিছু সীমাবদ্ধতা আছে সিটি কর্পোরেশনের। তাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে আইনগত জটিলতা নিরসনে উদ্যোগী হতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। আর এতে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমল থেকেই ট্যাক্স বৃদ্ধি ও বিপরীতে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণের নীতিতে চলছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তিনি বিদায়ের পর সেই প্রকল্পে ভাটা পড়ে। সদ্য বিদায়ী মেয়র আ.জ.ম নাসির উদ্দিন ট্যাক্স বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েও নগরবাসীর আপত্তির মুখে সফল হতে পারেননি। তাই নতুন প্রশাসকের সার্ভিস চার্জ প্রকল্পের সফলতা নিয়েও সন্দিহান সংশ্লিষ্টরা।