পাহাড়, বন, চরাঞ্চলের পর এবার সাগর দখল এবং বেচাকেনা শুরু
- আপডেট সময় : ০২:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়, বন, চরাঞ্চলের পর এবার গভীর সাগরের নীল জলরাশিও দখল এবং বেচাকেনা শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। গেল ২০ বছর ধরে উপকূলীয় এলাকার অন্তত ৫টি সিন্ডিকেট এই সাগর দখল ও বেচাকেনার সাথে জড়িত। জেলেদের অভিযোগ- জলদস্যুদের সহযোগী এই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে এলাকা না কিনে সাগরে জাল ফেললে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। সাগর বেচাকেনার এই অভিনব খবরে হতবাক হয়ে গেছেন সামুদ্রিক মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারাও।
ছোট ছোট এই ট্রলারে উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন সাগর পাড়ের জেলেরা। ট্রলারের লাইসেন্স আর মৎস্য অধিদফতরে তালিকাভুক্ত হওয়া ছাড়া আইনত আর কোন কাগজপত্র বা দখলের প্রয়োজন হয় না জেলেদের।
কিন্তু হালে এই চিরাচরিত নিয়মে এসেছে অদ্ভুত পরিবর্তন। বিশাল সমুদ্রের যে এলাকায় জাল ফেলবে জেলেরা, সেই এলাকাটি আগেই কিনতে হবে নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের কাছ থেকে। প্রতি ৫শো বর্গমিটার এলাকা এক মৌসুমের জন্য কিনলে ৫০ হাজার টাকা, আর ৫ বছরের জন্য নিলে দেড় থেকে দু’লাখ টাকা দিতে হয় সিন্ডিকেটকে। তাও আবার সাগর এলাকা বেচাকেনা হয় সরাসরি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে। সাগর না কিনে জাল পাতলে মারধোরের পাশাপাশি মাছ লুট, জাল কেটে দেয়াসহ নির্মম নির্যাতন নেমে আসে জেলেদের ওপর।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা পর্যন্ত এমন সাগর দখল সিন্ডিকেট আছে অন্তত ৫টি। এসব সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেন পতেঙ্গার ইলিয়াস সওদাগর। ২০১৭ সালে কোস্টগার্ডের হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে ফের বেপরোয়া তিনি। যদিও মাছের ব্যবসার কথা স্বীকার করলেও সাগর কেনাবেচার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
অভিনব এই সাগর বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি সামুদ্রিক মৎস্য বিভাগের। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের অব্যাহত অভিযানে প্রচলিত ধারার দস্যুতা কমেছে সাগরে। কিন্তু নতুন নতুন কৌশলে দখল, নির্যাতন, হয়রানীর হাত থেকে মুক্তি পাননি জেলেরা। যার খোঁজ রাখে না প্রশাসনও।























