মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পেছনে দীর্ঘদিন ধরেই ইরানকে দুর্বল ও বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিল ইসরায়েল। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই পরিকল্পনা উল্টো প্রভাব ফেলছে—ইরান ভেঙে পড়ার বদলে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ ও আঞ্চলিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন, বিশেষ করে সিরিয়া ও গাজায় ধারাবাহিক হামলা, হিজবুল্লাহ ও হুথি বিদ্রোহীদের মতো ইরানঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও চীনের কূটনৈতিক সমর্থন ইরানকে পশ্চিমা চাপে ভেঙে পড়ার পরিবর্তে আরও শক্তিশালী করেছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও এক বক্তব্যে বলেন, “তারা চেয়েছিল আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে, কিন্তু এখন পুরো অঞ্চলে প্রতিরোধের ঐক্য গড়ে উঠছে।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলের এই আগ্রাসন আমাদের প্রতিরোধকেই আরও তীব্র করেছে। আমরা পিছু হটবো না।”

সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত, আবার চীন-মধ্যস্থতায় ঐতিহাসিক কূটনৈতিক অগ্রগতি—সব মিলিয়ে ইসরায়েলের কৌশল যেন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের একতরফা আগ্রাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান এই অঞ্চলে ‘নতুন ধরনের ভূরাজনৈতিক পুনঃবিন্যাস’ তৈরি করছে, যার নেতৃত্বে উঠে আসছে ইরান।

এদিকে ইসরায়েল এখন নিজ দেশেই রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। যুদ্ধনীতির সমালোচনা, নিরাপত্তাহীনতা ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেতানিয়াহুর প্রশাসন ব্যাকফুটে রয়েছে।