আদালতের সীল, স্বাক্ষর জাল করে মানুষকে হয়রানী করছে সংঙ্ঘবদ্ধ চক্র

- আপডেট সময় : ০২:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সীল, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দেশের বিভিন্ন থানায় ভুয়া ওয়ারেন্ট পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করছে একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভিযোগের পর এবার সুনির্দিষ্ট ১৪টি ভুয়া ওয়ারেন্টের ওপর ভিত্তি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। সঙ্গবদ্ধ ওই চক্রকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হওয়ার তাগিদও দিয়েছে আদালত। আইনজীবী নেতারা বলছেন, আদালতের কার্যক্রম শতভাগ ডিজিটালাইজেশন ছাড়া এই ধরণের প্রতারণা রোধ করা যাবে না। আর মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কতা আর আন্তরিকতার অভাবেই এই ধরণের প্রতারক চক্র থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার জনৈক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট আদালত থেকে ইস্যু করা একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা যায় কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। গেল ১১ অক্টোবর সাইফুলকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যার উপনথি চট্টগ্রামে এলে দেখা যায় পরোয়ানা টি ছিল ভুয়া।
এই ঘটনায় তৎপর হয় আদালত। পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন থানায় এমন ১৪টি ভুয়া ওয়ারেন্টের সন্ধান পাওয়া যায়। বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন সিএমএম আদালতের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ভুয়া ওয়ারেন্টে সাধারণ মানুষকে হয়রানীর এমন অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আদালতের সমন্বয় না থাকায় এমন ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেটাফ
আর জেলা আইনজীবী সমিতি বলছে, আদালতের কাজে ব্যবহার্য ফরমগুলো যত্রতত্র বিক্রি বন্ধ করাসহ পুরো প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজেশন করতে না পারলে এই অবস্থা থেকে উত্তোরণ কঠিন। ফুটেজ-৩
শুধু এই ১৪টিই নয়, বিগত ১০ বছর ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে আসছে একটি সংগবদ্ধ চক্র। তবে এবারের ঘটনা সবচেয়ে বড়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই চক্রের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।