আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জয়ন্তী

- আপডেট সময় : ০৩:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জয়ন্তী।রবিঠাকুর বাঙালির মানসপটে সদাই বিরাজমান। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। মহামারী করোনায় কবিগুরুর গান, কবিতা, সাহিত্য মানুষের মনে সাহস জোগায়, মনকে শান্ত করে। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা- সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়। কবিগুরুর ১৫৯তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের আজকের দিনে। মা সারদাসুন্দরী দেবী এবং বাবা বিখ্যাত জমিদার ও ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে নদিয়া, পাবনা, রাজশাহী ও উড়িষ্যার জমিদারি তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন।
১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌঁছে দিয়েছেন বিকাশের চূড়ান্ত সোপানে। বাংলা ভাষার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলী রচনা করে ১৯১৩ সালে পান সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। যার অর্থ দিয়ে তিনি এ দেশে শাহজাদপুরের দরিদ্র কৃষকদের ঋণ দেওয়ার উদ্দেশে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক। গড়ে তোলেন শান্তিনিকেতন। আবার রাজপথে নেমে এসেছেন। করেছেন বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ। পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া ‘নাইটহুড’ উপাধি ফিরিয়ে দেন ।
করোনা সংক্রমণের এই সময়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে জনসমাগম হয় এমন কোনো আয়োজন থাকছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটালি উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সংস্কৃতি বিষয় মন্ত্রণালয় ডিজিটালি প্রচারের জন্য একটি অনুষ্ঠান ধারণ করেছে। এছাড়া ওই মহামানব আসে শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট।