ঘর-বাড়ি থেকে এখনো পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের

- আপডেট সময় : ০২:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও কোথাও কোথাও আবার বাড়তে শুরু করেছে। ঘর-বাড়ি থেকে এখনো পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। পাশা-পাশি এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগে রয়েছে বন্যা কবলিতরা। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে যায়নি। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা পানি বাহিত রোগে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমা অব্যহত থাকলেও এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গোপালগঞ্জে মধুমতি নদী ও কুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোপালগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতি আবনতি ঘটেছে। মধুমতি নদীর পানি বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে ৩০ সেন্টিমিটার এবং মাদারীপুর বিল রুট ক্যানেল পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র স্রোতে অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারন করেছে।
ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মানদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সব নদীর পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কালিয়াকৈরের ১১২টি গ্রাম ও এসব অঞ্চলের নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে ।
নেত্রকোনায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমছেনা। ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে বন্যা দুর্গত এলাকার পানিবন্দি মানুষের মাঝে।