অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ না দেয়ায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে রংপুর বিভাগের মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
করোনা দুর্যোগে সরকারি সহায়তায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ না দেয়ায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে রংপুর বিভাগের মানুষ। জরিপে দেখা গেছে, দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় দরিদ্র মানুষ কম থাকায়, জনপ্রতি প্রায় ৫০ কেজি খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে। আর, রংপুরে গড়ে রবাদ্দ পেয়েছে প্রতিজনে মাত্র তিন কেজি চাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে বাধাগ্রস্থ হবে দূর্যোগ মোকাবেলা।
দেশের গরিব জেলার পাঁচটিই হলো রংপুর বিভাগে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে বাংলাদেশের তিন কোটি ৪০ লাখ দরিদ্র মানুষের প্রায় এক কোটির বসবাস এখানে। এই বিভাগের মোট দারিদ্র্যের হার ৪৭ দশমিক দুই। অথচ, করোনার মতো দূর্যোগে যে কোনো বিভাগ থেকে কম বরাদ্দ মিলেছে এখানে। খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে অনেককে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত রংপুর জেলায় জনপ্রতি বরাদ্দ দিয়েছে তিন কেজি সাত’শ গ্রাম চাল। দিনাজপুরে এক কেজি পাঁচ;শ ৩৭ গ্রাম, কুড়িগ্রামে দুই কেজি ৮৬ গ্রাম, লালমনিরহাটে চার কেজি এবং গাইবান্ধায় মাথাপিছু এক কেজি আট’শ ৮৭ গ্রাম। এদিকে, নারায়নগঞ্জে জনপ্রতি ৫৬ কেজি চার’শ ১১ গ্রাম, মুন্সিগঞ্জে ৪৬ কেজি পাঁচ’শ ৩৪ গ্রাম এবং মাদারিপুরে গড়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৬ কেজি সাত’শ ৭৭ গ্রাম। (গ্রাফিক্স করে দিতে হবে/ জনপ্রতি গড়ে গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ..)
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো দুর্যোগে প্রয়োজন সুষম বন্টনের। আর, তা না হলে কঠিন হয়ে পড়বে দুর্যোগ মোকাবেলা।
গবেষকরা জানান, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ত্রান সহায়তা না দিলে বাড়তেই থাকবে দারিদ্র্যতা।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জানান, সরকারের বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ শ্রেনীতে নয়, দরিদ্র্র মানচিত্রের ভিত্তিতে দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি কমিয়ে আনা যাবে দারিদ্র্যতার হার।