করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে অবহেলিত দুর্গম পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি মানুষ

- আপডেট সময় : ০২:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে অবহেলিত দুর্গম পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ। নতুন এই রোগ সম্পর্কে তাদের সচেতন করারও প্রয়োজন বোধ করেনি কেউ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, পাহাড়িরা লোকালয়ে কম আসায়, তাদের মাঝে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে এক কিলোমিটার দুরে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ী এলাকায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৩০টি পরিবারের বাস। দু বছর আগে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯ শিশুর মৃত্যুর পর আলোচনায় আসে দুর্গম এই পল্লীটি। যদিও পরবর্তিতে অজ্ঞাত সেই রোগকে নতুন ধরণের হাম হিসেবে চিহ্নিত করেন চিকিৎসকরা। এরপর থেকে বিভিন্ন এলাকায় সববাস করা ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে প্রায়ই রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ফুটেজ-১
নুতন ব্যাধী করোনা আতঙ্কে স্তম্ভিত বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। ঠিক এমন সময়ে, কেমন আছেন অবহেলিত এই পাড়ার বাসিন্দারা।
করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হলে, স্থানীয় একটি সংগঠনের সদস্যরা এই পল্লীতে এসে কিছু মাস্ক বিতরণ করলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া কিংবা হ্যান্ড স্যনিডাইজার ব্যবহারের নিয়ম নীতি কিছুই জানেন না তারা। অসুস্থ হলে এখনো ঝাঁড়-ফুক আর পল্লী চিকিৎসকরাই ভরসা তাদের।
আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, পাহাড়ী মানুষেরা লোকালয়ে কম আসায়, তাদের করোনা ঝুঁকি নেই। তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, সাতকানিয়া, বোয়ালখালী ও লোহাগাড়ার পাহাড়ী এলাকায় বাস করেন কয়েক হাজার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ। দুর্গম এলাকা হওয়ায় সরকারি সুযোগ সুবিধার সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবাও পান না তারা।