একাত্তরের এই দিনে স্বাধীনতার দাবিতে মুক্তিকামী বাঙালিদের সভা, শোভাযাত্রা এবং গগনবিদারী স্লোগানে রাজধানীর আকাশ-বাতাস মুখরিত ছিলো

- আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
- / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
২২ মার্চ ১৯৭১। দিনটি ছিল সোমবার। স্বাধীনতার দাবিতে মুক্তিকামী বাঙালিদের সভা, শোভাযাত্রা এবং গগনবিদারী স্লোগানে রাজধানীর আকাশ-বাতাস মুখরিত ছিলো । প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর ডাকে রক্তঝরা উত্তাল অসহযোগ আন্দোলনের প্রতিটি দিনই ছিল বৈপ্লবিক।
সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন । প্রায় ৭৫ মিনিটব্যাপী আলোচনা শেষে দেশের আপামর জনসাধারণের মুক্তিদূত জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক বঙ্গবন্ধু দৃঢ় অথচ বিষণ্ন অবয়বে প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ৪টি শর্ত পূরণ না হলে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে শেখ মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না।’
দুপুর ১টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে ফিরে বঙ্গবন্ধু পুনরায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন । এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশে গুরুতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জনগণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
এদিন ‘বাংলাদেশের মুক্তি’ শিরোনামে সকল দৈনিক পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর বানী প্রকাশিত হয়। বাণীতে সাত কোটি বাঙালীর সামগ্রিক মুক্তির জন্য চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে। বুলেট, বেয়নেট এবং বন্দুক দ্বারা বাংলাদেশের মানুষকে স্তব্ধ করা যাবে না, কারণ তারা আজ ঐক্যবদ্ধ।
এদিকে সন্ধ্যায় সংবাদপত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন।