চট্টগ্রামে চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে

- আপডেট সময় : ০২:১১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে পুঁজি করে সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। ৫০ কেজির বস্তায় দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকার বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরবঙ্গের মিলার আর কতিপয় মজুদদার মিলে সিন্ডিকেট করে কৃত্তিম সংকট তৈরী করেছে। আর ক্যাব বলছে, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাইকারি চালের বাজার চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর চিত্র এটি। প্রতিটি গুদামই বস্তাভর্তি চালে ঠাসা। তারপরও সংকটের অজুহাতে গেল এক সপ্তার ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকার বেশি। অস্বাভাবিক এই মুল্য বৃদ্ধির দায়ভার উত্তরবঙ্গের মিলার আর তাদের মনোনীত কিছু মজুদদারদের ওপর চাপাতে চায় পাইকার ব্যবসায়ীরা।
চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, যে কোন সময় বাজারে অস্থিরতা তৈরী হলে খুচড়া আর পাইকার বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কিন্তু চালের বাজারের নিয়ন্ত্রক মিলাররা সবসময় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যতদিন তাদেরকে নজরদারির মধ্যে আনা না হবে ততদিন বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাব বলছে, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিমটি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে বাজারে এই অস্থিরতা। প্রশাসনের উচিত, এই কাজের জন্য ডেটিকেটিড টিম করা।
ক’দিন আগে ৫০ কেজির বস্তা ১৮ শো টাকায় বিক্রি হওয়া মিনিকেট সিদ্ধ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২ শো টাকায়। প্রতি বস্তায় সাড়ে ৩শো টাকা বেড়ে বেতি আতপ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়, কাটারিভোগ ২৮ শো, পারিজা ১৯ শো আর জিরাশাইল ২৮ শো টাকায়।