করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সারাদেশে বিদেশ ফেরত ২ হাজার ৩১৪ জনকে হোম ‘কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে
- আপডেট সময় : ০৬:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
- / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সারাদেশে বিদেশ ফেরত ২ হাজার ৩১৪ জনকে হোম ‘কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বআবধানে তাদের ১৪ দিন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। যারা ১৩ মার্চের আগে ভারতে গিয়েছিল তারা ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছে । তবে দু’দেশের আমদানি -রফতানি বানিজ্য সচল রয়েছে।
কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯২ জন প্রবাসী। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন। তিনি জানান, ১৪ দিন পরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা না গেলে তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন।
ফেনীতে বিদেশ থেকে আসা ১৫ জনসহ তাদের পারিবারের ৬৪ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইতালি ফেরত ৪৮ জনকে গাজীপুর নগরীর মেঘডুবি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আনা হয়েছে। রাতে তাদের বুঝে নেন সিভিল সার্জন ও গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকীসহ স্থানীয় প্রশাসন।
গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, বিদেশ ফেরত ১১ ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
ঝালকাঠিতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে শাহী মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে জনগনকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুষ্টিয়ায় লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। সকালে শহরের মজমপুর গেট এলাকায় পথচারী, দোকানদার, ইজিবাইক ও রিক্সা চালকদের মাঝে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।
মানিকগঞ্জে নিজ বাড়িতে বিদেশ ফেরত ২২৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে, এদের মধ্যে ২১ জনের শরীরে কোন ধরণের উপসর্গ না থাকায় নিজ বাড়ি থেকে পর্যবেক্ষণমুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
মৌলভীবাজার জেলার তিনটি আন্ত:র্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশী যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের কর্তৃপক্ষ।শনিবার বিকেল থেকে এই তিনটি চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশী যাত্রীকে ভারতে প্রবেশ সিমিত করা হলেও রোববার সকাল থেকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারত প্রবেশ এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা অবাধে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। এছাড়া উভয় দেশের নাগরিক আগে যারা বাংলাদেশে এসেছে বা ভারতে গেছেন তারা স্ব-স্ব দেশে ফিরতে পারছেন।
















